Children neglect studies some rules need to be followed so that children will focus on studies
সন্তান অমনোযোগী পড়াশোনায়?কিছু নিয়ম অনুসরণ প্রয়োজন যাতে বাচ্চারা মনোনিবেশ করবে পড়াশোনায়:-
বাচ্চারা পড়াশুনায় অমনোযোগী? পড়তে বসতে চায়না? বই দেখলেই পালিয়ে যেতে চাই, অধ্যায়ন অমনোযোগী শিশুদের সাথে পড়ার সু অভ্যাস গড়ে তোলা, একটি চ্যালেঞ্জিং হতে পারে কারণ তাদের মনোযোগের অভাব, এই চরিত্রের জন্য পড়া, মুখস্ত, বোঝা এবং তাদের পড়াশোনার প্রতি অগ্রগতি কঠিন করে তুলতে পারে।
অমনোযোগী শিশুদের সাথে কাজ করার একটি মূল কৌশল হল ধৈর্য, স্পষ্ট এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ নিয়ম প্রতিষ্ঠা করা। এটি অধ্যায়নের জন্য নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণের পাশাপাশি একটি কাঠামো গত পরিবেশ তৈরি করা উচিত। অর্থাৎ শিশুদের ছোট থেকে ঠিক সময় ঘুম থেকে ওঠা, ব্রাশ করা,ঠিক সময় খেতে বসা এবং ঠিক সময় পড়তে বসা, অর্থাৎ ছোট বাচ্চা বলে সেই সারাদিন খেলবে, পড়বে না এটা ঠিক অভ্যাস নয়।সবকিছুর জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় ধার্য করা উচিত, আর রোজ সেই সময় সেই কাজগুলিকে পরিচার্যিত করতে হবে।
বাচ্চাকে রোজ সকালে - বিকালে একটি নির্দিষ্ট সময় পড়াশোনা করতে বসাতে হবে। যাতে সেটা তার একটা সু অভ্যাসে পরিণত হয়।এভাবেই শিশুরা প্রথমে নিজের জীবনে একটা সু অভ্যাস তৈরি করবে,তারপর আসছে তার পড়াশোনার প্রতি আগ্রহী তৈরি করান,এর জন্য আমাদের ভারতবর্ষ তথা বিদেশেও কিছু টেস্টের কথা সবার জানা উচিত,অর্থাৎ সব সময় বাচ্চাদের জোর করে পড়তে বসান, যে বিষয়টি পড়তে ভালোবাসে না সেই বিষয়টিকে জোর করে মারধর করে পরান এগুলি ঠিক পদ্ধতি নয়। ভারতবর্ষের DMIT টেস্ট বলে একটি টেস্ট আছে যেখানে বাচ্চাদের ইন্টেলিজেন্স সম্বন্ধে জানা যায় ইন্টেলিজেন্স যেখানে বাচ্চার আঙুলের ছাপ মানুষের একাধিক বুদ্ধিমত্তা এবং জন্মগত সম্ভাবনা সঠিক বিশ্লেষণ প্রদান করে।
মানে এটা নয় যে বাচ্চা ম্যাথসে খুব ভালো সেই জন্য সে ইন্টেলিজেন্ট, যে ইংরেজিতে খুব ভালো মানে ইন্টেলিজেন্ট, খুব ভালো বলে সে খুব বুদ্ধিমান আসলে তা নয়, DMIT টেস্টের মাধ্যমে আমরা বাচ্চা in born charecteriste সম্বন্ধে জানতে পারি কোন বিষয়ে ইন্টেস্টের সবচেয়ে বেশি, সে কিভাবে পড়তে ভালোবাসে অর্থাৎ সে Audio Learner নাকি visual Learnar নাকি kinesthetic সেই সম্বন্ধে জানা যায়।
পিতা-মাতার সর্বদা বলে তার ছেলে মেয়েরা পড়ে না, তারা আসলে জানেই না যে তাদের বাচ্চা কিভাবে পড়তে ভালোবাসে।বাচ্চাদের পড়াশোনার প্রতি মনোযোগী হওয়ার জন্য তাদের কোন পদ্ধতি এপ্লাই করা পড়ানো উচিত, সেই বিষয়ে মানুষকে জানা প্রয়োজন এই টেস্টের পরে বাচ্চাদের ইউনিক Ability জানা যায় যাতে তার উপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতে সে তার মন মতো কোর্স নিয়ে পড়াশোনা করবে এবং মনোযোগীও হবে।
DMIT (Dermatoglyphics Multiple Intelligence Test )এই টেস্টে বাচ্চাদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট করে একটি বায়োমেট্রিক ডিভাইসের মাধ্যমে scan করে DMIT SELF WEAR এর মাধ্যমে আমরা বাচ্চার ইন বর্ন কোয়ালিটি সম্বন্ধে জানতে পারি আমরা জানতে পারি বাচ্চা কোন দিকে যাবে বা কোন দিকে এগোলে সে জীবনে উন্নতি করবে। বাচ্চার ইচ্ছা অনুযায়ী যদি তার পড়াশোনা চালান, তবে সে এমন কি পড়াশোনার প্রতি মনোযোগী হবে, এই টেস্টের মাধ্যমে তার ক্যারিয়ার সে কোন পদ্ধতিতে পড়াশোনা করতে চায় অর্থাৎ দেখে মুখস্ত, নাকি শুনে মুখস্ত, নাকি পড়ে মুখস্থ, করে সেটা যদি জানা যায় এবং সেই পদ্ধতি যদি অবলম্বন করা যায়,তবে বাচ্চাকে অবশ্যম্ভাবী সে যে তার পড়াশোনার প্রতি মনোযোগী হবে। সবার মা-বাবা চায় বাচ্চার ডাক্তার হবে, শিক্ষিকা হবে, ইঞ্জিনিয়ার হবে, কিন্তু বাচ্চা যদি নিজের ট্যালেন্ট নিয়ে নিজের ইচ্ছায় জীবনে বিকাশ ঘটায় তাহলে তার জীবনে কোন কমতি হবে না। উদাহরণস্বর আজ সচিন তেন্ডুলকারের মা যদি তাকে জোর করে ডাক্তারী পড়াতো তবে সে হয়তো ডাক্তার হয়ে যেত। কিন্তু আজ সে তার নিজের ট্যালেন্ট কে প্রাধান্য দিয়ে খেলা কে চুস করেছে বলে আজ পুরো পৃথিবী কাছে সে খ্যাতনামায় খেলোয়াড়। তাই বাচ্চা তখনই মনোযোগী হবে যখন সে তার মনের মত করে নিজের ট্যালেন্ট কে দেখাতে পারবে। তাই মনোযোগী হওয়ার প্রথম পদক্ষেপ হল এই DMIT টেস্ট এছাড়া বিভিন্ন উপায় পড়াশোনাকে ইন্টারেস্টিং করে তোলা এবং তাকে এনজয় করে পড়ানো যাতে বাচ্চারা আগ্রহী হয় বাচ্চাদের প্রতিটি ছোট ছোট কাজ তাদের ইনকারেজ করে কাজ সঠিকভাবে করতে পারলে অপ্রিসিয়েট করা ছোট ছোট উদ্যোগ নিয়ে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহী করা এবং ভালো ফল করলে বাচ্চাকে কোন গিফট বা কোনো ভালো রান্না করে তার পছন্দের খাবার খাওয়ানো এগুলো করতে পারলে বাচ্চারাও খুব খুশি হবে। প্রচুর আগ্রহী করে তোলা যায় এবং পড়াশোনার প্রতি মনোযোগী করতে পারবেন।
বাচ্চাকে তার নিজের কাজের জন্য যথেষ্ট ইমোশন থাকতে হবে, ইমোশন আর ভবিষ্যৎ চিন্তা না থাকলে সেই কাজটির কোন পরিণতি হয় না, বাচ্চাকে জিজ্ঞেস করতে হবে যেই সে পরবর্তী জীবনে কি হতে চায়, কোন বিষয়ে তার আগ্রহ আছে,সেই নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করতে হবে। তার ভবিষ্যৎ চিন্তা ভাবতে হবে, গুরুত্ব দিতে হবে সে কতটা জানে তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে সেটাও বুঝতে হবে, তাই সন্তানের সাথে তার পড়াশোনার যে লিংক আছে সেই লিংক করার গুরু দায়িত্ব বাবা মাকেই নিতে হবে।
মা-বাবার আরো দায়িত্ব হলো বাচ্চাদের রিমাইন্ডার করে দেওয়া অর্থাৎ বাচ্চারা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে যে স্বপ্ন দেখে সেই নিয়ে বাবা-মায়ের সাথে যখন আলোচনা করে বাবা মা খুব এনকারেজ করে,তাতে তারা খুব খুশি হবে,এমন করলে যে তার যেন এগুলি সব কাজ করে ফেলেছে কিন্তু কিছুক্ষন যাওয়ার পর আর তারা ভবিষ্যৎটা ভুলে গিয়ে, ফাঁকি দেওয়া, অমনোযোগী হওয়া, শুরু হয়ে যায় বাবা মায়ের উচিত বারবার সেই সময় তাকে রিমাইন্ডার করান যাতে সে তার ভবিষ্যতে পড়াশোনা থেকে যাতে ভ্রষ্ট না হয়।
আর একটি বিষয় বাচ্চাদের বা বড়দের কাছেও খুব গুরুত্বপূর্ণ তা হল বাড়ির পরিবেশ। বাচ্চা বড় হওয়ার পিছনে বাড়ির পরিবেশ বাবা মায়ের মধ্যে সম্পর্ক কেমন সেইগুলিও খুব প্রয়োজনীয় একটি বিষয়, যে বাড়িতে সর্বদা ঝগড়া কলহ চলতে থাকে সেখানে বাচ্চারা অনেক সময় চাইলেও পড়াশোনা করতে পারে না।তাই বাচ্চাদের সুস্থভাবে পড়াশোনা করার জন্য একটি সুস্থ -স্বাভাবিক পরিবেশ প্রয়োজন হয়। মারধর করে,বকা, শাস্তি দিয়ে কখনো বাচ্চাদের পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ করানো যায় না। এতে বাচ্চাদের ক্ষতি ছাড়া ভালো হয় না। তাই সন্তানের পড়াশোনার মনোযোগী করানোর জন্য সর্বদা বাবা মায়ের বিশেষ করে মায়েদের ধৈর্য বেশি প্রয়োজন হয় একটা সময় পর যখন তারা নিজেদের ভালো-মন্দ বুঝতে শিখে যায়। তারা তখন নিজেরাই নিজেদের দিকটা বুঝে যায়, তাই প্রথম সিঁড়ি যদি মা-বাবা ঠিক করে তৈরি করে দেয়, পরবর্তী জীবনের সিঁড়ি বাচ্চারা নিজেরাই তৈরি করে এবং খুব ভালোভাবে নিজের জীবন প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে।
OUR YOU-TUBE CHANEL : CLICK ON THE YOUTUBE CHANEL LINK
OUR FACEBOOK CHANEL - CLICK ON THE FACEBOOK CHANEL LINK
OUR WEBSITE PAGE LINK - CLICK ON THE WEBSITE PAGE LINK
Comments
Post a Comment