সন্তানের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার এবং অপব্যবহার:
সন্তানের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার এবং অপব্যবহার:
সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের জীবনে একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে, এবং শিশুরাও এর ব্যতিক্রম নয় তারা Facebook,Twitter,Instagram ,tiktok এবং Snapchat এর মত সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ব্যবহার করে। বন্ধুদের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে এবং সবশেষে প্রবণতা সম্পর্কে আপটুডেট থাকতে যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শিশুদের জন্য যোগাযোগ এবং শেখার একটি দুর্দান্ত উপায় হতে পারে। তবে এটি ভুল ভাবে ব্যবহার করা হলে এটি একটি বিপদজনক হাতিয়ার হতেও পারে।
পরোক্ষভাবে যোগাযোগ:
কিশোর কিশোরীরা স্কুলের পরে ঘুমানোর সময় শেষ হওয়া পর্যন্ত নিজেকে ব্যস্ত রাখতে পারদর্শী যখন তারা তাদের হোমওয়ার্ক করছে না , তারা অনলাইনে এবং ফোনে টেক্সটিং ,শেয়ারিং ,স্ক্রলিং এই সমস্ত কাজে ব্যস্ত। সেগুলি বেশিরভাগ সময়ই তাদের ভালো অপেক্ষা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়, বা অনলাইন পদ্ধতি শিশুদের জন্য সবচেয়ে বড় উদ্বিগ্নের কারণ যেসব শিশুরা অনলাইনে ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করে বা ঝুঁকিপূর্ণ আচরণের লিপ্ত থাকে তারা বাজেভাবে লক্ষ্যবস্তু হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে।
আরেকটি উদ্বেগ হলো সাইবার বুলিং। বাচ্চারা অহরহ সাইবার বুলিং এর শিকার হচ্ছে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে তারা কোন খারাপ সাইডে ঢুকে যাচ্ছে কিনা অর্থাৎ কোন নির্দিষ্ট সাইডে যে হয়তো ক্লিক করে ফেলেছে, কিন্তু যেখান থেকে সে বের হতে পারছে না ,আবার অভিভাবকদের কাছেও বলতে পারছে না ।অর্থাৎ কেয়ার করছে না তখন আমাদের চক্ষুর আড়ালে গিয়ে হয়তো তারা ওই সাইবারের প্রতি আরো বেশি আগ্রহী হয়ে। কোন ভুল কাজ করে ফেললে বিশেষ করে বয়সন্ধিকালে এই ভুল কাজগুলি বেশি ঘটে, এই ভুলগুলির সুযোগ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া বেনামী লোকজন তাদের ভিকটিম পেয়ে যায় এবং ভিকটিমকে ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেলিং করে শিশুদের গুরুতর মানসিক ক্ষতি ঘটাতে পারে এমন কি শিশুদের ক্ষেত্রে শিশুরা আত্মহত্যার দিকেও যেতে পারে।
সোশ্যাল মিডিয়া তাদের সন্তানদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর যে সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে সেই সম্পর্কে অভিভাবকদের সন্তান হওয়া উচিত। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে যেই সোশ্যাল মিডিয়া অত্যাধিক ব্যবহার উদ্বেগ বিষন্নতা এবং অন্যান্য মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হয় হতে পারে যে শিশুরা সোশ্যাল মিডিয়াতে অত্যাধিক সময় ব্যয় করে তারাও মারাত্মকভাবে আসক্ত হয়ে পড়ে যার ফলে তাদের সুস্থ একাগ্রতা এবং সামাজিক ক্রিয়াতে সমস্যা হতে পারে তারা এতটাই সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজেদের ব্যস্ত করে রাখে যে সামাজিক দিক থেকে তারা বহিরাগত অর্থাৎ তারা যে এই সমাজের অন্তর্ভুক্ত মানুষ সেটাও তারা ভুলে যায়। এই অন্তর্ভুক্তি করনের পড়াশোনার ওপর ও খুব বাজে একটা প্রভাব পড়ে।
করা মায়েরা তাদের সন্তানদের সোশ্যাল মিডিয়ার বিপদ থেকে রক্ষা করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন।
প্রথমত তাদের উচিত বাচ্চাদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার নিরীক্ষণ করা এবং কোনটা গ্রহণযোগ্য আচরণ সেই সম্পর্কে স্পষ্ট নিয়ম নির্ধারণ করা তাদের উচিত। অনলাইনে ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার মতো ঝুঁকি হতে পারে সেই সম্পর্কে সন্তানদের সাথে স্পষ্ট আলোচনা করা উচিত অপরিচিতদের সাথে যোগাযোগ করার আগে সর্তকতা প্রয়োজন কোন রকম ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার আগে খুব সতর্ক থাকা প্রয়োজন এবং বাবা মায়ের সাথেও ভালো সম্পর্ক থাকা প্রয়োজন যাতে সন্তানরা তাদের কথা শেয়ার করতে পারে।
পিতা মা তারা অথবা সন্তানের নিজেরাও সোশ্যাল মিডিয়াকে ভালো কাজে ব্যবহার করে থাকে। ফেসবুক ইউটিউব বা বিভিন্ন সাইটে অনেক ভালো কিছুও থাকে যেমন - যোগ অভ্যাস, মাধ্যম ভ্যাস, ধর্মীয় বানিয়ে পড়াশোনা সংক্রান্ত নিজের ক্যারিয়ার সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য প্রচুর ভালো ভালো সাইটো মিডিয়াতে থাকে।
বাবা মায়ের উচিত এই মিডিয়াতে থেকে ভালো দিকগুলো বার করে শিশুকে ভালো কাজে উৎসাহিত করা এইসব ছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়া থেকে কিছুটা বিরতি নিয়ে অন্যান্য প্রিয়া কলাব যেমন বই পড়া হেলা বা পরিবারের সাথে সময় কাটানো এ সবে উৎসাহিত করা উচিত এই ভাবেই এই ধরনের আসক্তি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
সোশ্যাল মিডিয়া শিশুদের সংযোগ এবং শেখার জন্য একটি দুর্দান্ত হাতিয়ার হতে পারে তবে এটি ভুল ভাবে ব্যবহার হলে এটি বিপদজনক ও হতে পারে পিতা মাতাদের তাদের বাচ্চাদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার পর্যবেক্ষণ থাকতে হবে এবং তাদের অনেকেই সাইবার গুলি এবং অন্যান্য ঝুঁকি থেকে বার করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।
সন্তানদের দায়িত্বশীল হতে শেখানো এবং সামাজিক মিডিয়া ব্যবহার আশেপাশে সাতশোকর অভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের অনলাইনে নিরাপদ এবং ইতিবাচক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করতে পারেন।
OUR YOU-TUBE CHANEL : CLICK ON THE YOUTUBE CHANEL LINK
OUR FACEBOOK CHANEL - CLICK ON THE FACEBOOK CHANEL LINK
OUR WEBSITE PAGE LINK - CLICK ON THE WEBSITE PAGE LINK
Comments
Post a Comment