নিজের প্রশংসা নিজের করা উচিত :-
নিজের প্রশংসা নিজের করা উচিত :-
আমরা মনে করি যে নিজের প্রশংসা নিজের করা উচিত এতে নিজের আত্মবিশ্বাস বোধ গঠিত হয় , সবাই ভাবে আত্মবিশ্বাস বাইরের উৎসাহ থেকে আসে কিন্তু বাস্তবে আত্মবিশ্বাস সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করে আপনি নিজের সম্পর্কে যা বিশ্বাস করেন তার উপর।
এটা ঠিক যে আমাদের কাছ থেকে পাওয়া প্রশংসা মানুষকে এক মুহূর্তে ভাল বোধ করায় কিন্তু ভেতর থেকে আসা সত্যিকারের আত্মবিশ্বাস ছাড়া , সেই প্রশংসা মূল্যহীন।
মানুষ যদি নিজেকে বিশ্বাস করতে শিখে যায় তখন তার অন্যের মতামতের ওপর নির্ভর হয়ে থাকতে হয় না।
আপনি যত বেশি আত্মবিশ্বাসী হবেন তত আপনি ভাল এবং খারাপ প্রশংসা এবং সমালোচনার প্রতি গুরুত্ব কম দেবেন , এই জায়গায় যেতে কিছু সময় লাগে , কিন্তু যদি কেউ নিজেকে তৈরী করতে পারে , নিজের নিজের আত্মবিশ্বাস গঠন করতে পারে তবে সে জীবনের অনেক সমস্যা থেকে বেরিয়ে আস্তে পারবে।
কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে আপনি প্রতিটি ছোট ছোট অর্জন করা প্রতিভা নিয়ে নিজের সম্বন্ধে গর্ব করবেন।নিজেকে নিয়ে অহংকার করবেন।
১/ প্রথমত , আপনাকে শিখতে হবে যে আপনি কিভাবে আপনার অভ্যন্তরীন কথোপকথন সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। আমাদের মন ক্রমাগত চিন্তা বিচার এবং বিশ্লেষণ দ্বারা প্লাবিত হয় , এই চিন্তাগুলিকে রূপান্তর করতে আপনাকে সেগুলি সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।
২/ মননশীলতা অনুশীলনের মাধ্যমে এটি সহজেই অর্জন করা যেতে পারে। আপনি নিজে কী বলছেন তা চিনতে প্রতিদিন নিজেকে কিছুটা সময় দিন। আপনি যখন নিজে ভুল করেন তখন নিজের সম্বন্ধে সমালচনা করুন , নিজের ভুলটা স্বীকার করে নিজেকে শোধরানোর চেষ্টা করুন এবং নিজেকে চিনতে শিখুন।
৩/ আপনার অভ্যন্তরীন সংলাপের মধ্যে পরিবর্তন আন্তে হবে।
আপনি নিজেকে সমালচনা , লজ্জা অপরাধ বোধ এবং অপমানের চিন্তার থেকে বার করে আন্তে হবে। আপনাকে আপনার বেস্ট তা দিতে হবে , আপনি নিজের সাথে নিজে চ্যালেঞ্জ করুন যে আপনি আপনার জীবনে এমন কোন কাজ করবেন যাতে অন্য্ কেউ কি বলল সেটা পরে আসবে , আগে নিজের প্রশংসা নিজে করুন।
৪/ নিজের আত্মমর্যাদা বাড়ান :-
নিজের সম্বন্ধে অন্যদের কাছে ভালো জিনিষ জানলে নিজেকে আর ও বেশি আত্মবিশ্বাসী এবং সুরক্ষিত বোধ করেন , যা আপনাকে আর ও নতুন করে উত্তেজনাপূর্ন চ্যালেঞ্জ নিতে সক্ষম করেন। যা আপনার সাফল্যের তালিকায় যুক্ত হয়। কিছুটা ভাল স্ব প্রশংসা দ্বারা শুরু করা আপনার সাফল্য এবং সুখ কে ব্যাপক ভাবে আপনার জীবনকে সুখী করতে সক্ষম হবে।
৫/ আপনার কৃতিত্বকে পরিচিত করুন :-
এই বিশ্বে আমাদের নিজেদের কাজ নিজেদের জন্য কথা বলে। পৃথিবীতে নিখুঁত কাজের পরিমান কম , বা নিখুঁত কাজকে প্রশংসা করার লোকের খুব অভাব। তাই নিজের তাগিদে নিজের কাজকে আটকে না রেখে নিজের জন্য কিছুটা সময় ব্যায় করুন। আপনার প্রতিভা ও লোকে জানুক তার একটা সুযোগ বা মাধ্যম করে দিতে হবে। যা আপনাকে আপনার কৃতিত্বের জন্য স্মরণীয় করে রাখবে এবং আপনার কেরিয়ারের জন্য সেটি খুব ভাল অগ্রগতি হবে।
৬/ আপনাকে আর ও দক্ষ দেখান :-
স্ব -প্রশংসা ও নিজেকে আর ও নিজের কাজে পটু ও দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে। এর ফলে আপনি লোকেদের প্ৰশংস তো পাবেনই আবার নিজের কাজের দক্ষতা বাড়লে আপনি নিজেও প্রশংসা করার সুযোগ করে দেবেন।
৭/ প্রশংসা ভাগ করতে শেখা :-
আপনি যদি অন্যদের সাথে মাইল অর্থাৎ কোন কাজ যদি অনেকে মাইল করে এবং সেই কাজ যদি প্ৰশংসনীয় হয় তবে সেখানে শুধু নিজেকে প্রশংসিত করবেন না , আপনি বলবেন না যে" আমি দুর্দান্ত" বলবেন "আমরা দুর্দান্ত " কোন কিছু করেছি , এতেও কোথাওনাকোথাও নিজের সততাকে প্রশংসিত করা হল।
৮/ নিজের ভুল গুলিও স্বীকার করা উচিত :-
আপনি যখন কোন কাজে প্রশংসিত হচ্ছেন তখন যেমন নিজের প্রশংসা ভাল লাগছে তেমনই যখন কপিন ভুল করবেন সেটিকে মানতে জানতে হবে , নিজের ভুল স্বীকার করতে হবে। নিজের ভুলের জন্য ক্ষমা চাইতে এবং তার থেকে নিজেকে আর ও উন্নত করতে জানতে হবে। অর্থ্যাৎ নিজের ভুল সংশোধন করতে জানতে হবে। যারা শুধুমাত্র নিজের ভাল কাজ দেখতে পে এবং তাদের নিজেদের ত্রুটি গুলি সম্পূর্ণ রূপে উপেক্ষা করে তারা অবজ্ঞা এবং অবজ্ঞা ছাড়া কিছুই আমন্ত্রণ করে না।
৯/ অনুশীলন করা :-
অনুশীলন হল যে কোন সাফল্যের চাবিকাঠি , এটি খুব সত্যি কথা যে আপনি যত চেষ্টা করবেন যে রোজ যদি কোন কাজ অনুশীলন করেন তবে সেটি হতে বাধ্য এবং তার জন্য আপনার জীবনেও উন্নতি ঘটবে আপনি সকলের প্ৰশংসনীয় ব্যাক্তিত্ব হিসাবে বিবেচিত হবেন।
নিজেকে প্রশংসিত করার অনেক গুলি সুবিধা আছে নিজের সাফল্যকে প্রশংসিত করলে সেগুলি দেখে অন্যরা নতুন কাজের উদ্যোম পাবে তারাও নিজেদের কাজে প্রশংসিত হওয়ার জন্য বা নিজেকে প্রশংসিত করা জন্য আর ও অনুশীলন করবে।
আপনি যদি নিজের প্রশংসার মাধ্যমে নিজেকে একজন আত্মনির্ভরশীল ব্যাক্তিতে পরিনত করেন তবে অন্যের প্রশংসার জন্য আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে না ,বা অন্যের কটু কথাও আপনার কোন ক্ষতি করতে পারবে না , তাই নিজেকে প্রশংসিত করুন নিজের কাজে দক্ষতা বাড়ান , এবং নিজেকে নিয়ে জীবনে খুশি থাকুন।
OUR YOU-TUBE CHANEL : CLICK ON THE YOUTUBE CHANEL LINK
OUR FACEBOOK CHANEL - CLICK ON THE FACEBOOK CHANEL LIN
OUR INSTAGRAM CHANEL - CLICK ON THE INSTAGRAM PAGE LINK
OUR WEBSITE PAGE LINK - CLICK ON THE WEBSITE PAGE LINK
Comments
Post a Comment