ক্ষমা 'পরম ধর্ম 'তাই ক্ষমা করার শক্তি তৈরী করা উচিত

 ক্ষমা 'পরম ধর্ম 'তাই ক্ষমা করার শক্তি তৈরী করা উচিত :-



       জীবনে মানুষ কারো না কারো দ্বারা অন্যায় হওয়ার বা অত্যাচারিত হওয়ার অভিজ্ঞতা আছে। সে ব্যাক্তিটি একজন সহকর্মী হতে পারে ,বন্ধু বা পরিবারের সদস্য হতে পারে।  কিন্তু সেই নেতিবাচক অনুভূতিগুলি ঝুলিয়ে রাখা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য দারুন ক্ষতিকারক হতে পারে।  

      যে ব্যাক্তি আপনার সাথে ক্ষতি করেছে তাকে ক্ষমা করা অত সহজ কার্য নয় , তবে সেই ঘটনাগুলির উপর মনোযোগ দেওয়া এবং বারবার সেগুলিকে পুনরুদ্ধার করা , আপনার মনকে নেতিবাচক চিন্তাভাবনা করেন ,দমন ও ক্রোধ পূর্ণকরতে পারে। 

      বিভিন্ন মনোস্তাত্তিকরা বলেছেন , যখন আপনি ক্ষমা করতে শিখবেন ,তখন আপনি আর অন্যের অতীত কর্মের দ্বারা আটকে পরবেন না।  এবং অবশেষে মুক্ত বোধ করবেন।  

   ছেড়ে দিতে শিখতে হবে :-

    ক্ষমা দুটি দিক রয়েছে -সিদ্ধান্তমূলক এবং আবেগপূর্ণ। 

    সিদ্ধান্তমূলক ক্ষমার সাথে খারাপ ইচ্ছাকে ভাল ইচ্ছার সাথে প্রতিস্থাপন করার জন্য একটি সচেতন পছন্দ জড়িত। মানসিক ক্ষমার জন্য আপনি সেই নেতিবাচক অনুভূতি গুলি থেকে দূরে সরে যান এবং অন্যায়ের  উপর থাকবেন না।  

       কিন্তু  আবেগজনিত ক্ষমা অনেক কঠিন এবং বেশিসময় নেয় , কারন এই অনুভূতিগুলি নিয়মিতভাবে ফিরে আসা সাধারণ ব্যাপার।  তাই কারুর আবেগ জনিত ক্ষমাতে মনের ওপর খুব জোড় পরে। 

     বড় বড় মনিষীরা বলেগেছেন , যারা আপনাকে কষ্ট দেয়, ভগবানের কাছে তাদের জন্য ক্ষমা প্রাথনা করুন।  শত্রুতা , রিভেঞ্জ , এগুলি করে সবচেয়ে  বেশি মানুষ নিজের ক্ষতি করে ক্ষমার মধ্যে দিয়ে মানুষ এক শান্তি অনুভব করেন তাই ক্ষমাই হল জীবনের প্রধান ধর্ম। 

    আসলে ক্ষমা জিনিষটা আমরা প্রকৃতভাবে শিখিনা , অর্থ্যাৎ আমরা বড় হওয়ার সাথে সাথে আমাদের বেশিরভাগই ক্ষমা সম্পর্কে শিখিনি আমরা সম্পর্ক ও দ্বন্দ্বগুলিকে কিভাবে নেগেটিভ করতে হয় তা শিখি কিভাবে কোন কিছুকে শেষ করা হয় সেটা সবাই জানে , কিন্তু ক্ষমার মাধ্যমে কিভাবে কোন মানুষের জীবন পরিবর্তিত হতে পারে তার জ্ঞান খুব কম। 

     আমরা সহজে কাউকে ক্ষমা করতে পছন্দ করি না আসল কথা হল আমরা কখন কখন নিজেদের মধ্যে ক্ষোভ ,বিরক্ত ধরে রাখতে পছন্দ করি তাই কোন কিছুকে সহজে ছেড়ে দিতে পারি না।  তাই যা ঘটেছে সেটাকে জীবন থেকে বার করে ক্ষমার মাধ্যমে নিজের জীবনকে উন্নতীর দিকে যেতে হবে। 

     কখন কখন ও আমরা ক্ষমা করতে ভয় পায়, কারন আমরা উদ্বিগ্ন যে আমরা যদি কোন ও নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা পরিস্থিতিকে ক্ষমা করি তবে আমরা তাদের আচরণকে ক্ষমা করছি এবং তাদের হুক বন্ধ করে দিচ্ছি। 

    আমরা আসলে চাই যে লোকেরা যা করেছে তার জন্য দায়বদ্ধ হোক তাই তাদের ক্ষমা করে কোনভাবে তাদের পাস্ করতে চাই না ,

      কিন্তু এটা সত্য নয় , ক্ষমা আমাদের জন্য একটি মুক্তি পাওয়ার জায়গা যে ব্যাথা , চাপ , বিরক্তি এবং নেতিবাচক বহন করি তার থেকে মুক্তি পাওয়ার পথ। আমরা কোন ব্যক্তিকে ক্ষমা করতে বেছে নিই কারন আমরা সেই পরিস্থিতির যন্ত্রনা আর পুনরুজ্জীবিত করতে চাই না।  আমরা সেই বিরক্তি আর বহন করতে চাই না।  কারন এটি আমাদের জন্য ক্ষতিকর। 

     সে ব্যাক্তির সাথে সরাসরি কথা বলুন :- 

     আমি যাকে বলি ঘর্মাক্ত কথোপকথন। 

      কথোপকথন প্রথম দিকে খুবই কঠিন ও ভীতিকর হতে পারে ,এবং এটিতে সর্বদা সমাধান নাও হতে পারে।  তবু ও  এটি বাস্তব সমাধান কথোপকথনে অনেক ক্ষেত্রে ভাল অনুভব করতে পাবেন , এর অর্থ এই নয় যে পরিস্থিতিটি সমাধান হয়ে গেছে , কিন্তু প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে আপনি লোকেদের সাথে কথা বলে ভাল অনুভব করবেন , যা আপনার জন্য ভাল।  

    একটি নোট লিখুন :-

নোটটি একটি ইমেল ,পাঠ্যবার্তা , হাতে লেখা চিটি, যে কোন কিছু হতে পারে। 

আপনার মনে তাকে নিয়ে যা যা আছে সব কিছু ব্যক্ত করুন ,আপনার সাথে কি করেছে সব লিখুন আপনার কষ্ট টাও লিখুন , আপনি আপনার সমস্ত আবেগ বের করে ফেলুন , এবং নিজেকে খালি করে দিন।  এটি আপনার অবচেতনের কাছে একটি বার্তার মত আপনি আপনার সমস্ত অনুভূতি বার করে তাকে ক্ষমা করে দিন। 

     এভাবে ক্ষমার মাধ্যমে নিজেকে সুস্থ , সতেজ, ইতিবাচক ও পুনরুজ্জীবিত করে তুলুন , নিজেকে ভাল রাখুন সব কিছু এমনি ভাল হয়ে যাবে তাই জীবনে "ক্ষমাই পরম ধর্ম ।

OUR YOU-TUBE CHANEL : CLICK ON THE YOUTUBE CHANEL LINK

OUR FACEBOOK CHANEL - CLICK ON THE FACEBOOK CHANEL LIN

OUR INSTAGRAM CHANEL - CLICK ON THE INSTAGRAM PAGE LINK

OUR WEBSITE PAGE LINK -  CLICK ON THE WEBSITE PAGE LINK



Comments

Popular Posts