A discussion on how to inculcate good habits in children
শিশুদের মধ্যে সু অভ্যাস কিভাবে তৈরি করা যায় ,সেই সম্বন্ধীয় আলোচনা
শৈশব থেকে শিশুকে ভালো আচরণ, গঠনমূলক ও সৌজন্যতামূলক আচরণ শেখানো উচিত এই ব্যাপারে বাবা এবং মা কে অধিক সচেতন হওয়া প্রয়োজন। পরিবার হলো শিশুর প্রথম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পরিবার থেকে শিশু সর্বপ্রথম সব ধরনের শিক্ষা লাভ করে। বাবা ও মা হল শিশুর প্রথম শিক্ষক ও শিক্ষিকা।
শিশুর আচার-আচরণ ,অভ্যাস ,ভাষা ব্যবহার সবকিছুতে পরিবারের প্রভাব পড়ে । তাই শিশুর মধ্যে সু অভ্যাস তৈরি করার প্রথম ধাপ শুরু হয় তার পরিবার থেকে।
শিশু তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠবে ,তারপর ব্রাশ করবে, এরপর সে তার দিন শুরু করবে এর পরে সে নিজের ব্রেকফাস্ট ঠিক সময় শেষ করে স্কুলের জন্য তৈরি হবে। স্কুল থেকে ফিরে এসে খাবার খেয়ে খেলাধুলা করবে, তারপর পড়াশোনা করতে বসবে এবং সেই দিনের শেষ কাজটি হল সে রাতের ডিনার শেষ করে ব্রাশ করে ঠিক সময় ঘুমোতে যাবে।
এগুলো হলো জীবনের প্রথম সু অভ্যাস অর্থাৎ শিশু জীবনের প্রথম ধাপ সে শুরু করল।
এগুলো আমরা সকলেই জানি কিন্তু এই ধাপ গুলোর মধ্যে এমন অভ্যাস শিশুর মধ্যে তৈরি করতে হবে যাতেই সে প্রকৃত মানুষে পরিণত হবে। ছোট থেকে যদি শিশুর মধ্যে নৈতিক ও মূল্যবোধের ঘাটতি থাকে তাহলে বড় হয়েও সেই ঘাটতি থাকাবে। তাই বাবা ও মাকে এই ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।
শিশু যাতে নিজের কাজ নিজে করতে পারে তার প্রশিক্ষণ শুরু করা উচিত একদম শৈশব কাল থেকে:
শিশু যদি ছোট থেকে নিজেদের কাজ নিজেরা করতে শেখে ,তার ফলে শিশুদের মধ্যে সু অভ্যাসের সাথে সাথে তার আত্মবিশ্বাস ,আগ্রহ ,উদ্দীপনা, অন্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমে, কর্মদক্ষতা বাড়ে। বাড়ির বড়দের সাহায্য করে শিশুটি আনন্দ অনুভব করে ।এইভাবে সঠিক উপায় যদি শিশুদের মধ্যে প্রথম থেকে নিজেদের কাজ নিজেরা করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে সে একদিন প্রশান্ত সুরক্ষার সম্পন্ন মানুষ হিসাবে গন্য হবে ।অভিবাকদের উচিত ছোট বেলা থেকে শিশুদের নিজেদের কাজ নিজেদের করতে শেখানো
ধন্যবাদ কথাটির সাথে পরিচিত করান:
'ধন্যবাদ' কথাটির সাথে শিশুকে পরিচিত করতে হবে। কারো কাছে কোন কিছু গ্রহণ করলে সেই মানুষটিকে ধন্যবাদ দিতে হয় এই শিক্ষা সন্তানকে ছোট থেকে দিতে হবে, এছাড়া পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে কোন সুবিধা নিলে বা কোন উপহার নিলেও ধন্যবাদ কথাটির ব্যবহার করা উচিত ।ধন্যবাদ দেওয়া নিতান্তই ভদ্রতা, নম্রতামূলক একটি আচরণ। উন্নত দেশে সন্তানকে শৈশব থেকে ধন্যবাদ দেওয়ার ব্যাপারে সচেতন করা হয়। শুধু তাই নয়, সন্তান তার অভিভাবকদের দেখে শিখবে, তাই অভিভাবকদের উচিত অন্যদের ধন্যবাদ বলুন এবং শিশুকে বলতে শেখান।
প্লিজ বা দয়া করে বলাতে শেখান:
শিশুরা তার সহপাঠী বন্ধু বা অপরিচিত কারোর কাছ থেকে কোন কিছু গ্রহণ করার আগে প্লিজ শব্দটি ব্যবহার শেখাতে হবে, কোন মানুষকে কোন কাজ করার আগে যদি নম্রভাবে প্লিজ বলে ,তাহলে শিশুটির মধ্যে নম্রতা ,ভদ্রতা আচরণটি গড়ে উঠবে তার সাথে একটি সু অভ্যাস তৈরি হবে।
কথা বলার সময় অন্যকে বিরক্ত করা উচিত নয়:
সন্তানকে শৈশব থেকে শেখানো উচিত যেন অন্যরা যখন কথা বলবে তখন যেন সে অন্যদের কথায় বিরক্ত না করে অথবা ঝামেলা সৃষ্টি না করে। এমন কি কেউ একজন যদি তার সাথে কথা বলছি সে যেন তাকে থামিয়ে দিয়ে নিজের কথা না বলে। অন্যকে থামিয়ে দিয়ে নিজের কথা অন্যকে শুনতে বাধ্য করা এটি একটি খারাপ অভ্যাস এর উদাহরণ, তাই এমন আচরণ যেন শিশু না করে সেদিকে সচেতন হওয়া দরকার।
অনুমতি নেওয়া শেখান:
কারোর রুমে প্রবেশ করার আগে অথবা কারো জিনিসে হাত দেওয়ার আগে অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন ,এটি একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সুঅভ্যাসের মধ্যে পড়ে, এই অভ্যাস ছোট থেকে হওয়া খুব প্রয়োজন। শৈশব থেকে শিশুরা যদি অনুমতি নিতে শেখে তার ফলে পরবর্তীকালে স্কুল জীবনে এর সুফল পাওয়া যায়।
তাই শিশুদের অনুমতি নিতে শেখানো অভিভাবকদের একটি বড় কর্তব্য।
শিশুর বইয়ের প্রতি আগ্রহী করান:
বাচ্চাদের সামনে বই দিয়ে রাখতে হবে ,এতে বাচ্চারা যতো বেশি দেখবে তাদের সেই বস্তুটির ওপর আকর্ষণ বারবে, তারা প্রতিদিন নিজের সামনে বই দেখলে, সেটি পড়ার ইচ্ছা তৈরি হবে, বইটি খুব কালারফুল হতে হবে যাতে বাচ্চারা বইটির প্রতি আকৃষ্ট হয়, তাছাড়া ওই বইটি থেকে কোন গল্প বাচ্চাদের পড়িয়ে শোনাতে হবে এর ফলে তারা ওই বইটির প্রতি কৌতুহল করবে সেও বইটা পড়তে চাইবে, এই ভাবে বাচ্চাদের বই পড়ার সুঅভ্যাস তৈরি হবে। আগামী দিনে যাতে বাচ্চাদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ ভালোবাসা তৈরি হয় ,তার জন্য বই সামনে থাকা খুব প্রয়োজন। এভাবে বই পড়ার প্রতি ভাললাগা ও ভালোবাসা তৈরি হয়।
বাচ্চাদের সামনে মোবাইল ফোন ও অন্য কোন gadget না দিয়ে বই দিন ,এতে বাচ্চার সুঅভ্যাস গড়ে উঠবে।
বাচ্চাদের পরিবেশ সুলভ হতে শেখান:
আমরা যেমন নিজের বাড়ি ঘর পরিষ্কার রাখতে ভালোবাসি। তেমনি পরিবেশকে পরিষ্কার রাখাও আমাদের দায়িত্ব ,ঠিক সেই ভাবেই শিশুদের মধ্যেও পরিবেশকে পরিষ্কার রাখার শিক্ষা ছোট থেকে দেওয়া উচিত। যেহেতু শিশুরা আমাদের আগামী প্রজন্ম ,তাই তাদেরও পরিবেশ বান্ধব হওয়া উচিত, যেখানে সেখানেই নোংরা আবর্জনা ফেলবো না ,প্লাস্টিক ব্যবহার কম করতে শেখান ,যেখানে সেখানে প্লাস্টিক না ফেলা ,জলের অপব্যবহার না করা ,এগুলো সব ধীরে ধীরে শেখাতে হবে, তাই প্রতিটি শিশুদের যদি আমরা এই সচেতনতাগুলি গড়ে তোলাতে পারি তবে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম একটি সুস্থ সু অভ্যাস সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব এবং প্রকৃত সমাজ কারিগর তৈরি করতে পারবে।
OUR YOU-TUBE CHANEL : CLICK ON THE YOUTUBE CHANEL LINK
OUR FACEBOOK CHANEL - CLICK ON THE FACEBOOK CHANEL LINK
OUR WEBSITE PAGE LINK - CLICK ON THE WEBSITE PAGE LINK
Comments
Post a Comment