How parents support their children during adolescence
বয়ঃসন্ধিকাল পিতা-মাতার কিভাবে তাদের সাথে সঙ্গ দেবেন :
বয়সন্ধিকাল কথাটির অর্থ প্রথমে জানা দরকার, বয়সন্ধিকাল কথাটির অর্থ হল "সন্ধি কাল"। শৈশবে এবং প্রাপ্তবয়স্কের মাঝে সময়টাকে বলা হয় বয়সন্ধিকাল। এই সন্ধ্যিকালের সময়সীমা হল ১০-১৯ বছর। শিশুরা যখন কৈশরে পদার্পণ করে, তখন তাদের মধ্যে শারীরিক এবং মানসিকভাবে অনেক পরিবর্তন আসে, সেই সময় বাবা এবং মায়েরা বুঝতে পারে না ,যে তারা কিভাবে আচরণ করবে তাদের সন্তানের সাথে। সেই সময় অর্থাৎ কৈশোরে শিশুর মানসিক পরিবর্তনটা বুঝে অনেক ধৈর্য ধরে বাবা ও মাকে সেই ভাবে আচরণ করতে হবে।
সর্বপ্রথম: এই সময় শিশুর মধ্যে এমন অনেক চিন্তা উন্মোচিত হয় সেগুলি বাবা-মায়ের কাছেও এর উত্তর যা থাকে না, কৈশোরের শিশুরা ভাবে যে তারা কোথা থেকে এলো ,কিভাবে এলো, সে নিজে কে ?এইসব বিষয় নিয়ে তার মধ্যে অনেক প্রশ্ন ওঠে। সেই শিশুটি নিজের পরিচয় ,নিয়ে খুব কৌতূহলী হয়ে পড়ে। এই সময় তাদের মধ্যে একটা স্বাধীনচেতা মনোভাব তৈরি হয়।
বাচ্চা বয়সে ,একটা শিশু মা-বাবার পায়ে পায়ে ঘোড়ে, শিশুরা এই সময় মায়ের আঁচলের তলায় থাকে ।বাবা-মা ছাড়া তার জীবনে আর কিছুই সে যানে না, তাদের কথাই তার কাছে শেষ কথা। বাবা-মার মতামতি শেষ কথা। কিন্তু হঠাৎ করে যখন সে কৈশোরে পদার্পণ করে তাদের আমরা চিনতে পারি না ,তাদের ব্যবহার, কথাবার্তার মধ্যে পরিবর্তন আসে, বাবা মায়ের মতামত অপেক্ষা নিজের মতামতের প্রতি প্রাধান্য অনেক বেড়ে যায় ,অভিভাবকদের সাথে তর্ক করে, নিজের মতামত কে প্রাধান্য দেওয়ানোর জন্য, এই সময় বাবা-মায়ের থেকে শিশুটির বিছিন্ন তার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
এই সময় তারা তাদের পছন্দ অনুযায়ী খেতে ,জামা কাপড় পড়তে ,ভালোবাসে সবকিছুর মধ্যে নিজের মতামতকে প্রাধান্যতা দিতে চায়।
দ্বিতীয়ত: কৈশোরের সবথেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল সবকিছুতে না বলা ,বাবা মা যাই বলুক না কেন, সবকিছুই তাদের ভুল বা সেই বিশায় সম্বন্ধে মা-বাবা কিছুই জানে না, এমন মনে হয়।তারা বাবা-মা অপেক্ষা নিজেদের বন্ধু-বান্ধবদের যারা তাদের সাথে সাথ দিচ্ছে তাদের অনেক বেশি গুরুত্ব দেয়। তারই বন্ধুরা তাদের জীবনে পথপ্রদর্শক, হয়ে দাঁড়ায় সেই সময় তাদের মধ্যে ঠিক কোনটা আর ভুল কোনটা তাই বোঝাটাই কাজ করে। বাবা-মা তখন তাদের সব থেকে বড় শত্রু।
তাই সেই সময় বাবা এবং মাকে এমন কিছু আচরণ করা উচিত যাতে বাবা-মা তার জীবনে বন্ধু জায়গাটা নিতে পারে।
সর্বপ্রথম বাবা ও মাকে তার সবচেয়ে ভালো বন্ধু হতে হবে: এই সময় তাদের মধ্যে যেহেতু শারীরিক বা মানসিক পরিবর্তন ঘটে ।যেটা হঠাৎ করে তাদের মধ্যে চলে আসে তারা তাদের শৈশব কে হারিয়ে ফেলে, সবকিছুই প্রভাব পড়ে এই বয়সন্ধিকালে সময়। কথায় কথায় রেগে যাওয়া, কারোর কথায় গুরুত্ব না দেওয়া, কেউ তাকে বুঝতে পারেনা ,সেই নিয়ে দুঃখ করা, এগুলো তাদের মধ্যে চলতে থাকে। তাই বাবা-মায়ের উচিত ছেলে মেয়ের মন বুঝে তাদের সাথে বন্ধুর মতো মিশতে হবে। শিশুর মনের কাছাকাছি যেতে হবে, যাতে শিশুরা তাদের মনের কথা অভিভাবকদের খুলে বোঝাতে পারে ,তাদের মানসিক অবস্থা বুঝে তাদের সমস্যার সমাধান যদি করতে পারেন। তবে শিশুরা আমাদের ভরসা করতে পারবে ।আর তাদের বাইরের বন্ধু অপেক্ষা নিজের বাবা মাকে বেশি প্রাধান্য দেবে।
ওদের মধ্যে যে দক্ষতা গুলি আছে সেগুলিকে প্রাধান্য দিতে হবে:
ছেলে মেয়েদের সর্বদা তাদের পছন্দের কাজকে উৎসাহিত করতে হয়। অর্থাৎ আপনার শিশুর মধ্যে যে ট্যালেন্ট আছে, সেই ট্যালেন্ট কে ছোট না করে ,অন্য কারোর সাথে তুলনা না করে, শিশুটির ওই দক্ষতাকে উৎসাহিত করতে হয় ।অনেক বাবা-মা তার শিশুর ট্যালেন্ট কে কোনরকম উৎসাহ না দেওয়াই তারা বাইরের মানুষের মধ্যে নিজের কাজের জন্য বাহবা অর্জন করতে চাই ,তার জন্য অনেক ভুল মানুষের সঙ্গ দোষেও পড়তে হতে পারে। ছেলে মেয়েদের সর্বদা ভালো দিকে মোটিভেট করা উচিত ,ছেলে মেয়েদের পছন্দের যদি পজিটিভ দিক চালনা করা হয় তাহলে তাদের ডিপ্রেশন থেকেও দূরে রাখা যায়। সর্বদা তাদের গতানুগতিক জীবনে আটকে না রেখে তাদের ক্রিয়েটিভ দিকটাকেও উৎসাহিত করলে, তাদের শারীরিক মানসিক সৃজনশীলতার দিকটাও বিকাশ ঘটে।
বাচ্চাদের মধ্যে সাফল্য ব্যর্থতা দুটোই জেনে নিতে হবে। সাফল্য আসবে কার সাথে সাথে ব্যর্থতা ও আসবে। সেই ব্যর্থতাকে মানতে শিখতে হবে। জীবনে কোন কিছু মানুষের প্ল্যান অনুযায়ী হয় না ।এই ব্যর্থতার মানে তার জীবনে দোষ, একথা যে ভুল সেটা বাবা-মাকে বোঝাতে হবে। এবং ব্যর্থতার সময় নিজের জীবনে ভুল ,ত্রুটি গুলোকে জেনে সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে আবার জীবন শুরু করতে হবে। এই সময় বাবা মাকে সবথেকে বেশি বাচ্চাদের সাপোর্ট দিতে হবে। সর্বদা তাদের পাশে আছি । বেড়ে ওঠে বেড়ে এর জন্য বাবা মায়ের উচিত ছেলে মেয়েদের সাথে খোলামেলা,আলোচনা করা। এমনকি sex education নিয়েও তাদের সাথে খোলামেলা ভাবে আলোচনা করা উচিত ,যাতে বাচ্চারা অন্য কারো সাথে এটা নিয়ে আলোচনা করে যাতে ভুল তথ্য না জানতে পারে ,তার জন্য উচিত বাবা-মাকে অনেক বেশি বাচ্চার close থাকা। এই সময় ছেলে মেয়েদের প্রেমে পড়ারও প্রবণতা থাকে সেখানে মা বাবা প্রেম করা অপরাধ এটা না বুঝিয়ে অন্যভাবে পরিস্থিতি সামলাতে হবে। যাতে সে প্রেমে ব্যর্থ হয়েছে বলে নিজের জীবন শেষ এমন যেন মনে না হয় তাই প্রতিমুহূর্তে বাবা-মাকে বাচ্চার সাথে থাকতে হবে, বাচ্চার ইচ্ছার মর্যাদা সর্বদা সারা জীবন দিতে হবে। তার সন্তানের সবচেয়ে ভালো বন্ধু হিসেবে নিজেকে বিবেচিত করতে হবে
এভাবেই আমরা বয়সন্ধিকালে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে পারি।
OUR YOU-TUBE CHANEL : CLICK ON THE YOUTUBE CHANEL LINK
OUR FACEBOOK CHANEL - CLICK ON THE FACEBOOK CHANEL LINK
OUR WEBSITE PAGE LINK - CLICK ON THE WEBSITE PAGE LINK
Comments
Post a Comment