Addiction to food
খাদ্যের প্রতি আসক্তিকরণ:-
খাদ্য আসক্তি হল আজকালকার দিনে একটি খুব সাধারণ একটা সমস্যা। এই সমস্যার ফলে একজন ব্যক্তি কতটা খাবার খাবে তার পরিমাণের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে ফলে তাদের খাবারের প্রতি একটা আসক্তি তৈরি হয়। খাদ্য আসক্তি সম্পূর্ণ শরীরের সুস্থতা এবং তার সঙ্গে মানসিক সুস্থতার উপর প্রভাব ফেলে।
যার ফলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা এবং জটিলতা দেখা দেয়। এই আসক্তি বিভিন্ন উপায় প্রকাশ করতে পারে, যেমন- অতিরিক্ত খাওয়া,দ্বিধাহীন খাওয়া, আবেগপূর্ণ খাওয়া এবং বাধ্যতামূলক খাওয়া।
খাদ্য আসক্তির কারণ:-
খাদ্যের আসক্তি বিভিন্ন কারণে হতে পারে যার মধ্যে রয়েছে জেনেটিকস পরিবেশ গত কারণ এবং মানসিক সমস্যা এখানে খাদ্য আসক্তির কিছু সাধারণ কারণ রয়েছে।
জেনেটিক্স: গবেষণায় দেখা গেছে যে জেনেটিক্স খাদ্য আসক্তিতে ভূমিকা পালন করে।কিছু লোক তাদের জেনেটিক্স কারণে খাবারের আসক্তিতে বেশি সংবেদনশীল।
পরিবেশগত কারণ: আমরা যে পরিবেশে বাস করি তাতে খাদ্য আসক্তিতে অবদান রাখতে পারে। সামাজিক বিচ্ছিন্নতা পারিবারিক সমস্যা বা একাকিত্বের মতো মানসিক কারণগুলি ও একজন ব্যক্তিকে সুখ বা আনন্দ খুঁজে পাওয়ার জন্য খাদ্যের প্রতি আসক্ত করে তোলে।
মানসিক সমস্যা:- বিষন্নতা উদ্বেগ এবং চাপের মতো মানসিক সমস্যাগুলির কারণে ও খাদ্য আসক্তি হতে পারে। অনেক লোক তাদের আবেগ মোকাবিলা করার জন্য একটি মোকাবিলা প্রক্রিয়া হিসেবে খাদ্য ব্যবহার করে।
খাদ্য আসক্তির লক্ষণ:-
খাদ্য আসক্তির উপসর্গ ব্যক্তি ভেদে পরিবর্তিত হতে পারে যাই হোক কিছু সাধারণ লক্ষণ রয়েছে যে আপনি খাবারে আসক্ত হতে পারেন।
অতিরিক্ত খাওয়া:-
কোন মানুষ যতটা খাওয়া প্রয়োজন তার থেকে যদি অনেক বেশি খায়,তখন তাকে অতিরিক্ত খাদ্যাভ্যাস বলা হয়। অর্থাৎ শরীরে যতটা প্রয়োজন তার থেকে ইচ্ছা করে, জোর করে,ভালোলাগা বলে অতিরিক্ত করে খাওয়া হলো খাদ্য আসক্তির কারণ।
কিছু খাবারের আকাঙ্ক্ষা:
কিছু মানুষজন আছে যারা ক্ষুধার্ত না থাকলেও কিছু খাবারের খাবার তীব্র ইচ্ছা থাকে অর্থাৎ খিদে না পেলেও খাবার খেতে হবে খাবার দেখলেই খেতে হবে এই ধরনের আসক্তির কারণকে Food addiction বলা হয়।
অল্প সময়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে খাওয়া অর্থাৎ কম সময়ের মধ্যে ঠিকভাবে খাবার চিবিয়ে পরিপাক না করে। প্রচুর পরিমাণে গোগ্রাসে খাদ্য গ্রহণ করে। এরাও এক ধরনের Food addict -এর মধ্যে পরে।
অনেক মানসিক সমস্যা স্ট্রেস উদ্বেগ বা বিষণ্ণতা মোকাবেলা করার জন্য খাবার খেয়ে নিজেকে পরিতৃপ্ত করে।
খাবারের ব্যাপারে নিজের কোন নিয়ন্ত্রণ না রাখা অর্থাৎ মানুষ যদি নিজের ভালো না বোঝে,তবে অন্য কেউ যাই বোঝাক সেটা কোন কাজে লাগে না।
যারা খাবার দেখে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারে না তাদের সর্বপ্রথম ডাক্তারের কাছে গিয়ে নিজেকে খাদ্য থেকে সরানোর বা পরিনিত খাবার খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে তবে খাদ্যের প্রতি আসক্ত নষ্ট হবে।
খাদ্য আসক্তির চিকিৎসা:-
জ্ঞানী ও আচরণগত থেরাপি?
আপনাকে খাদ্য আসক্তির সাথে সাথে সম্পর্কিত নেতিবাচক চিন্তা ভাবনা এবং আচরণ গুলি সনাক্ত করতে এবং পরিবর্তন করতে সহায়তা করে।
মাইন্ত ফুলনেস- ভিত্তিক থেরাপি
মাইন্ত ফুলনেস - ভিত্তিক থেরাপি আপনাকে আরো উপস্থিত এবং আপনার চিন্তাভাবনা এবং আবেগ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে যা আপনাকে খাদ্যের আসক্তি কাটাতে সাহায্য করবে।
পুষ্টির পরামর্শ: একজন পুষ্টিবিদ আপনাকে একটি স্বাস্থ্যকর এবং সুষম খাদ্য পরিকল্পনা তৈরি করতে সাহায্য করতে পারেন। তার পরামর্শ শুনলেও খাদ্যের আসক্তিকরণ কমবে।
সমর্থন গোষ্ঠীর:
একটি সমর্থন গোষ্ঠীতে যোগদান করে নিজেকে সম্প্রদায়ের অনুভূতি প্রদান করে। খাদ্যের প্রতি আসক্তি কমলে এই সংগ্রামে নিজেকে একা বোধ না করে আরো পাঁচজনের সাথে যদি খাদ্য আসক্তিকরণ কমানোর অভ্যাস করা যায় তবে নিজের জীবনে উন্নতি ঘটবে।
খাদ্যের আসক্তি একটি গুরুতর সমস্যা হতে পারে, সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এটা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।নিজের ওপর বিশ্বাস করে এই লড়াইতে জিততে হবে, এই মনোভাব তৈরি করতে হবে,তার সাথে সকলকে সঠিক সমর্থন এবং নির্দেশনার সাথে,খাদ্যের সাথে একটি সুস্বাস্থ্যকর সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে এবং সুখী ও পরিপূর্ণ জীবন যাপন করতে শিখতে হবে।
OUR YOU-TUBE CHANEL : CLICK ON THE YOUTUBE CHANEL LINK
OUR FACEBOOK CHANEL - CLICK ON THE FACEBOOK CHANEL LINK
OUR WEBSITE PAGE LINK - CLICK ON THE WEBSITE PAGE LINK
Comments
Post a Comment