TO CREATE SENSE OF RESPONSIBILITY IN CHILDREN





 বাচ্চাদের মধ্যে দায়িত্ববোধ তৈরি করার জন্য বিশেষ কিছু নিয়মাবলী:


      শিশুদের মধ্যে দায়িত্ববোধ তৈরি করা, শিশুর বিকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।এটি শিশুদের নিজেদের এবং অন্যদের যত্ন নিতে শিখতে সাহায্য করে এবং এটি আজীবন ভালো সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং আত্মনির্ভরশীলতার ভিত্তি স্থাপন করবে। 


    শিশুদের ছোটবেলা থেকে বিভিন্ন কাজের দায়িত্ব নেওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে।তাদের বুঝতে হবে,তাদের কাছ থেকেও সবাই কিছু আশা করে,বড়রাও অনেক কিছু  প্রত্যাশা করে,তাদের বড় করে।তাই বাচ্চাদের দায়িত্ববোধ গড়ে ওঠার অভ্যাস একদম ছোট থেকেই করতে হবে, যেমন- তারা যেখানে খেলতে বসে সেই জায়গাটা পরিষ্কার রাখা, নিজেদের জিনিসগুলো সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা জায়গায় রাখা,অথবা তার বিছানাটা গুছিয়ে পরিষ্কার রাখা, এই ছোট ছোট কাজ গুলি তাকে দিয়ে করালে তার মধ্যে ধীরে ধীরে  সুঅভ্যাসের সাথে সাথে দায়িত্ববোধের বিকাশ ঘটবে।


      বাচ্চাদের মধ্যে তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত এ পছন্দ তৈরিতে উৎসাহিত করা,ও দায়িত্ববোধ তৈরি করা, একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।এটি শিশুদের কর্মের পরিণতি থেকে শিখতে এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বিকাশ করে, যেমন যদি একটি শিশু একটি নির্দিষ্ট পোষাক পরতে চায় কিন্তু সেই পোশাকটি  আবহাওয়ার জন‍্য উপযুক্ত নয়  তার থেকে তার ভিন্ন পছন্দ করতে শিখতে পারবে।


       পিতা মাতার একটা বড় দায়িত্ব থাকে বাচ্চাদের যে কোনো কাজে মোটিভেট করানোর  জন্য, অর্থাৎ পিতা-মাতা যদি বাচ্চাদের জোর করে কোন কিছু করতে না বলে তাদের প্রশংসা সুরে উৎসাহিত,করলে তারা মন থেকে সেই কাজটা করবে উপরন্ত তারা বেশি বেশি কাজ চাইবে যাতে তারা আরো  প্রশংসিত হয়।


        প্রশংসার সাথে সাথে পুরস্কারও যদি তাকে দেওয়া হয়, তবে সে তার দায়িত্বের ব্যাপারে মনোযোগী হয়ে কাজ করবে। তবে একটা দিকে খেয়াল রাখতে হবে মা-বাবাকে যে পুরষ্কার যেন খুব ছোটখাটো বা প্রয়োজনীয় মুলক হয়। খুব দামি কোন জিনিস দিলে তাদের  অভ্যাস  যেন খারাপ না হয়ে যায়।


      কম বাচ্চাদের মধ্যে কাজ করার প্রবণতা থাকে,অর্থাৎ বেশিরভাগ বাচ্চারাই কাজ করতে চায়না,তাই তাদের সাথে সর্বদা হাসিমুখে ভালো ব্যবহার করে, তাদের বুঝিয়ে  দায়িত্বের গুরুত্ব শেখানো উচিত। বাচ্চাদের কোন অর্ডার করলে বা চিৎকার করে কথা বললে তারা কোন কাজ করতে চায় না, তাই তাদের সাথে এমন ভাবে ব্যবহার করুন যাতে তারা মনে করবে যে তারা আমাদের হেল্প করছে এতে তারাও ধীরে ধীরে নিজেদের কাজটা করতে শিখবে এবং  সুঅভ্যাস তৈরি হবে।


        একটা কর্মতালিকা তৈরি করা উচিত অর্থাৎ বাচ্চাদের একটা নিয়মের  মধ্যে থেকে কাজ শেখানোত, যেমন- একটা চার্ট বানানো থাকবে যেখানে লেখা আছে সে রাতে শোয়ার আগে নিজের  বেড পরিষ্কার রাখতে হবে অর্থাৎ তার বই খাতা বা অন্য  কিছু  থাকলে সেগুলো সরিয়ে পরিষ্কার রেখে শুতে হবে।এভাবে তাকে  নিয়মের মাধ্যমে দায়িত্বের বিকাশ ঘটাতে হবে, এইভাবে ছোট ছোট নিয়ম চার্টে লিখে তাদের মধ্যে বিকাশ সম্ভব।



   বাচ্চাদের কখনো এটা বলবেন না যে তুমি অদ্বায়িত্বপূর্ণ, তোমার কোন সেন্স নেই,তুমি লিখতে পারো না, তুমি একজন বাজে ছেলে / মেয়ে,তোমার  কিছু হবে না, এই ধরনের কথা শুনলে তাদের মন ভেঙে যায় তাদের মধ্যে নেগেটিভটি তৈরি হয় তারা ইচ্ছা করে কিছু করতে চায় না কাজের উৎসাহটাই সেই হয়ে যায়। তাই তাদের সাথে ভালো ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের মধ্যে পরিবর্তন আনতে হবে এবং  দায়িত্বপূর্ণ একজন ভবিষ্যৎ নাগরিক হিসেবে গণ্য করতে হবে।

    

       বাবাকে রোল মডেল হতে হবে,অর্থাৎ মা যদি বাড়িতে যেকোনো কাজ কোন কথায় যদি সর্বদা বলে আমি পারিনা, আমি কিভাবে করব?,আমার দ্বারা হবে না,এই ধরনের কথা বাচ্চাদের সামনে বললে তারাএগুলো শুনে শুনে বলবে যে আমিও পারি না,আমার দ্বারাও হবে না, তাই মা-বাবাকেও অনেক কিছু শিখতে হবে যাতে ছেলে মেয়ে তাদের দেখে। দেখে তাদের ইনস্পিরেশন পায় যে হ্যাঁ আমাকেও মায়ের মত দায়িত্ব নিতে হবে,বা বাবার মতো নিজের দায়িত্ববোধকে গুরুত্ব দিতে হবে শুধু স্বার্থপরের মত একা বাঁচা যায় না।


          শিশুদের মধ্যে দায়িত্ববোধের বিকাশ একটি ধীরে ধীরে প্রক্রিয়া, শিশুদের তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতে উৎসাহিত করা দৈনন্দিন জীবনের  দায়িত্বকে গুরুত্ব দেওয়া।


       এটি শিশুদের স্বাধীন আত্মনির্ভরশীল ব্যক্তি হতে সাহায্য করবে,যারা ভালো সিদ্ধান্ত নিতে এবং নিজেদের এবং অন্যদের যত্ন নিতে সক্ষম।

OUR YOU-TUBE CHANEL : CLICK ON THE YOUTUBE CHANEL LINK

OUR FACEBOOK CHANEL - CLICK ON THE FACEBOOK CHANEL LINK

 
 

OUR WEBSITE PAGE LINK -  CLICK ON THE WEBSITE PAGE LINK


Comments

Popular Posts