সন্তানকে কিছু কথা প্রতিদিন বলা উচিত(children should be told something every day)
সন্তানকে কিছু কথা প্রতিদিন বলা উচিত:
পিতামাতা হিসেবে , আমাদের সন্তানদের মূল্যবোধ এবং নৈতিকতার শেখানো আমাদের দায়িত্ব । যা তাদের জীবনের পথে সঠিক পথে চালিত করতে সহায়তা করবে।
এটি করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায় গুলির মধ্যে একটি হল ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি এবং যোগাযোগের মাধ্যম। এখানে কিছু বিষয় আছে যা আমাদের বাচ্চাদের প্রতিদিন বলা উচিত যেগুলি রোজ শুনলে তাদের আত্মমর্যাদা বোধ, ইতিবাচক মনোভাব ,ইতিবাচক আচরণ, স্বাস্থ্যকর অভ্যাস এবং নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস গড়ে উঠতে সাহায্য করবে এবং জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে উৎসাহিত হয়ে সঠিক পথ নির্বাচনে সহায়তা করবে।
* "আমি তোমাকে ভালোবাসি" এটি একটি খুব জাদু করি বাক্য যদি প্রতিদিন আপনার সন্তানের কাছে 'আমি তোমাকে ভালোবাসি' বলা হয় তাতে তাদের মানসিক সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ , এছাড়া এই কথাটি রোজ শুনতে তাদের মধ্যে শুনতে বাবা-মার সম্পর্কে একটা ইতিবাচক মনোভাব, বাবা-মাকে শ্রদ্ধা ,ভালোবাসার ,সম্মান দেওয়ার আচরণ ও সৃষ্টি হতে থাকে যা পরবর্তী প্রজন্মকে উৎসাহিত করে।
* "ধন্যবাদ" শিশুদের মধ্যে কৃতজ্ঞতা বোধ তৈরি করার জন্য এই শব্দটি একটি গুরুত্বপূর্ণ শব্দ। যখন তারা সদয় বা সহায়ক মূলক কোন কাজকর্ম করে তখন তাদের 'ধন্যবাদ' বা 'থ্যাঙ্ক ইউ' বলা উচিত এতে তাদের মধ্যে কৃতজ্ঞতার সাথে সাথে প্রশংসিত হওয়ার প্রক্রিয়াটি তারা জানবে এবং শিখবে।
যার ফল স্বরূপ তারা চাইবে বারবার এমন কোন কাজ করতে যাতে তারা সবার কাছে প্রশংসিত হয়, এই ভাবে তারা সহায়ক মূলক কাজ করতে শিখবে। যা তাদের জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
* " আমি তোমার জন্য গর্বিত" শিশুদের এটা বোঝাতে বা জানতে হবে যে তারা যদি ভালো বা কৃতিত্ব মূলক কাজ করে তাহলে তাদের পিতা-মাতা তাদের নিয়ে গর্বিত হয়।
তাই শিশুদের এমন কোন কাজের মধ্যে যুক্ত করা উচিত, যা তাদের পছন্দমূলক কাজকর্ম এবং তাদের এই পছন্দের কাজকে যদি পিতা-মাতা গুরুত্ব দিয়ে প্রশংসিত করে আর বলে যে "আমি তোমার জন্য গর্বিত" তাহলে তাদের আত্মসম্মান বৃদ্ধি হয় এবং তারা (বাচ্চারা) সেই কাজটিকে আর ও ভাল করার জন্য কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যেতে তাদের অনুপ্রাণিত করতে সহায়তা করে।
* "খুশি থাক আর সর্বদা হাসতে থাকো" শিশুদের জীবনে খুশি থাকা ,সুখী থাকা ,সন্তুষ্ট থাকতে শেখানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।ছোট ছোট ব্যাপারে খুশি হওয়া, ছোট ছোট ব্যাপারে সুখ খুঁজে নিয়ে অন্যকে খুশি রাখার, এই সব কিছুই শেখার প্রয়োজন বাড়ি থেকে বাবা মাকে প্রতিদিন এটাই বলতে হবে ,যে ছোট জিনিসে খুশি হতে শেখো আর সর্বদা হাসি মুখে থাকো এতে জীবনে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে থাকে ।এভাবে শিশুদের রোজ এই কথাগুলি বলতে হবে।
* "আমি দুঃখিত" আমি কোন কাজ যদি ভুল করি তাহলে অন্যদের ছোট হোক বা বড় হোক sorry বা দুঃখিত বলা উচিত।
এটাই বাচ্চাদেরও শেখানো উচিত যে, যখন কিছু ভুল করে তখন তাকে sorry শব্দটি ব্যবহার করতে হবে ।এতে শিশুদের মধ্যে ক্ষমা চাওয়ার অভ্যাস ও তৈরি হবে। তাই বাবা মায়ের উচিত তারা যদি ভুল করে তাদেরও sorry বলা, যা দেখে ছোটরাও সরি বলা শিখবে এবং তাদেরও রোজ বলতে হবে যে দোষ করলে sorry বলা উচিত।
* " দিনটা কেমন গেছে তোমার" আপনার সন্তানকে জীবনে আগ্রহ নেওয়ার এবং তাদের দিন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা গুরুত্বপূর্ণ এটি শেখায় যে আপনি তাদের অভিজ্ঞতার বিষয় যত্নশীল।
এবং একটি শক্তিশালী বিশ্বাসযোগ্য সম্পর্কে গড়ে তুলতে সাহায্য করে, তাছাড়া সেই বাচ্চাটিও বোঝে যে তার মা বাবা তার প্রতি খুবই যত্নশীল এবং তাকে নিয়ে চিন্তা করে তাই তাকে প্রতিদিন জিজ্ঞাসা করা উচিত তার দিন কেমন কেটেছে।
* " শুভ সকাল এবং শুভরাত্রি" একটি প্রেমময় এবং ইতিবাচক নোট দিয়ে প্রতিদিন শুরু ও শেষ করলে আপনার সন্তানকে আরো ভালো ঘুমোতে এবং সুখী এবং সতেজ বোধ করে জেগে উঠছে সাহায্য করে । শিশুদের জন্য এটি একটি খুব ভালো অভ্যাস।
তাই শিশুদের প্রতি দিন এগুলো বলে দিন শুরু 3 দিন শেষ করা উচিত, এবং আর ও বাসায় পরিচালনা, যেন রোজ অন্যদের এই কথাগুলি বলে নিজেদের সুন্দর অভ্যাস তৈরি করতে পারে তাই ছোটদের সর্বদা সকাল রাত এই দুটি কথা বলা উচিত।
* " আমি কিভাবে সাহায্য করতে পারি?" আপনার সন্তানকে সাহায্য করার প্রস্তাব দেওয়া যখন তারা কিছু সাথে লড়াই করছে তখন তাদের দেখায় যে আপনি তাদের সমর্থন করার জন্য আছেন এটি তাদের শেখায় যে তাদের যখন প্রয়োজন হয় তখন তাদের সাহায্য চাওয়া ঠিক।
তাই সর্বদা শিশুদের কানের সামনে এই কথাগুলি বলা উচিত।
প্রতিদিন আপনার বাচ্চাদের এই জিনিস বলা একটি শক্তিশালী স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক গড়ে তুলতে এবং ইতিবাচক অভ্যাস ও আচরণকে উন্নীত করতে সাহায্য করে বাবা মায়ের জন্য সন্তান আগামী বছরের জন্য আপনার ভালোবাসা এবং নির্দেশিকা থেকে উপকৃত হবেন।
OUR YOU-TUBE CHANEL : CLICK ON THE YOUTUBE CHANEL LINK
OUR FACEBOOK CHANEL - CLICK ON THE FACEBOOK CHANEL LINK
OUR WEBSITE PAGE LINK - CLICK ON THE WEBSITE PAGE LINK
Comments
Post a Comment