শিশুরা বাবা-মাকে সবকিছু শেয়ার করতে পারে কি?(Do you want to share everything with you)
শিশুরা বাবা-মাকে সবকিছু শেয়ার করতে পারে কি?
শিশুরা যখন বড় হয় এবং বিকাশ ঘটে, তারা অগণিত অভিজ্ঞতা এবং আবেগের সম্মুখীন হয় । যা তারা সম্পূর্ণরূপে বুঝতে পারে না যে কিভাবে প্রক্রিয়া করতে হবে কিভাবে তারা সব সমস্যা বা সব পরিস্থিতি সম্মুখীন হবে।
এই সময় পিতা-মাতারার নির্দেশিকা এবং সহায়তার একটি নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য উৎস হিসেবে কাজ করে।
কিন্তু পিতা-মাতাদের সাথে সকল কথায় সবকিছু ভাগ করে নেওয়ার কথা আসে, তখন শিশুরা দ্বিধা বা অনিশ্চিত বোধ করে।
শিশুরা তাদের পিতা-মাতার সাথে সবকিছু ভাগ করে নিতে পারি কি পারি না সেই প্রশ্নটি খুব জটিল একদিকে পিতা-মাতারায় শিশুদের জীবনে এমন একজন ব্যক্তি যারা তাদের সন্তানের সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি জানেন সবচেয়ে বেশি বোঝে তাদের যত্ন নেন, তাদের মূল্যবান পরামর্শ দেন, সবদিক থেকে বাবা-মা শিশুদের আগলে রাখে এবং সকল রকম কাজ নির্দেশ করেন।
কিন্তু একটা সময়ের পর বা অন্য অনেক কারণে জন্য শিশুরা তাদের মা বাবার বা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কাছে সবকিছু শেয়ার না করে বন্ধুবান্ধবকে বেছে নেয় নিজেদের সমস্যার সমাধানের জন্য তারা বন্ধু-বান্ধবের সাথে অনেক সচ্ছন্দ বোধ করে ,আলোচনা করে।
এমন অনেক পরিস্থিতি আসে যেখানেই শিশুরা তার পিতা-মাতার সাথে সবকিছু ভাগ করে নিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতে পারে না উদাহরণ স্বরূপ যদি একটি শিশুর লজ্জা বা অপরাধবোধে অনুভব করে তাহলে তারা বিচার বা হতাশার ভয় তাদের পিতা মাতার কাছে মুখ খুলতে দ্বিধাগ্রস্থ হতে পারে। উপরন্তু যদি একটি মানসিক আঘাত বা নির্যাতনের সম্মুখীন নয় তখন তারা তাদের পিতা-মাতার সাথে তাদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়া নিরাপদ বোধ করে না। তারা সেই সাহস নিজেদের মধ্যে তৈরি করতে পারে না যাতে তারা মা-বাবার সম্মুখীন হতে পারে।
পিতা-মাতার সাথে একটা বয়সের পর বিশেষ করে নিজের সম্পর্কের আস্থা নিজের মতামত বা সিদ্ধান্ত এগুলো শেয়ার করতে পারেনা তারা মনে করে মা-বাবা তাদের জেনারেশন বুঝবি না তাদের মতামতের মূল্য দেবেনা আবার অনেক ছেলে মেয়েরা ভাবে যে মায়েরা তাদের জীবন সম্বন্ধে অর্থাৎ তারা কার সাথে রিলেশনে থাকবে কার সাথে ডেট করছে এত জানুয়ারি প্রয়োজন নেই তারা তাদের জীবনের সিদ্ধান্ত নিজেরাই নিতে পছন্দ করে তারা চাই কোনরকম হস্তক্ষেপ তাদের জীবনকে আরো বেশি মানসিক চাপ দিবে তাই বাবা মায়ের সাথে তারা সব কথা শেয়ার করতে পারেনা বা চায় না।
এছাড়া শিশুরা তাদের পিতা-মাতার সাথে সবকিছু শেয়ার করতে পারি কি পারে না তা নির্ভর করে সন্তানের বয়স ব্যক্তিত্ব এবং তাদের পিতা মাতার সাথে সম্পর্ক বিভিন্ন কারণে এর উপর পিতা-মাতার জন্য একটি নিরাপদ এবং সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ যেখানে তাদের শিশুরা তাদের চিন্তা ভাবনা এবং অনুভূতি ভাগ করে নিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে এর মধ্যে রয়েছে খোলামেলা এবং বিচারহীন হওয়া সক্রিয়ভাবে সোনা এবং আশ্বাস ও সমর্থন প্রদান এগুলি উভয়ের সম্পর্কের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি পর্যায়।
পিতা মাতার মধ্যে সর্বদা একটা প্রবণতা কাজ করে যে তারা অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তি তাই তারা সর্বদা ঠিক তারা যা বলছে বা ভাবছে সেটাই শেষ কথা ।তাই শিশুরা অনেক সময় নিজের হীনমন্যতা বা আত্মসম্মানবোধ বা ছোট হওয়ার প্রবণতা এই সব ভেবে কোন কিছু শেয়ার করতে চায় না। তাই পিতা মাতাদের অবশ্যই সন্তানের সীমানাকে সম্মান করতে হবে এবং স্বীকার করতে হবে যে এমন কিছু বিষয় বা অভিজ্ঞতা থাকতে পারে যা তাদের সন্তানরা আলোচনা করতে প্রস্তুত বা ইচ্ছুক নয় এই পরিস্থিতিতে পিতা-মাতার জন্য ধৈর্যশীল এবং বুঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং তাদের সন্তানদের ভালোবাসা এবং সমর্থন প্রধান চালিয়ে যেতে হবে।
যদিও শিশুরা তাদের পিতা-মাতার সাথে সবকিছু শেয়ার করতে সক্ষম না হতে পারে কিন্তু পিতা মাতার জন্য একটি পরিবেশ তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ। যেখানে তাদের শিশুরা তাদের চিন্তা ভাবনা এবং অনুভূতি নিয়ে আলোচনা করতে নিরাপদ এবং স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে এইভাবে যদি প্রতিটি মা-বাবা তাদের সন্তানের পাশে শক্ত করে দাঁড়ায় তবে সন্তানদের বাইরে বন্ধু-বান্ধবের প্রয়োজন কম পড়বে।
এটি বলার মাধ্যমে পিতা মাতারা তাদের সন্তানদের বড় হওয়ার জটিলতা গুলির রিপোর্ট করার সময় তাদের জন্য নির্দেশিকা এবং সমর্থনের একটি মূল্যবান উৎস হিসেবে কাজ করতে পারেন।
OUR YOU-TUBE CHANEL : CLICK ON THE YOUTUBE CHANEL LINK
OUR FACEBOOK CHANEL - CLICK ON THE FACEBOOK CHANEL LINK
OUR WEBSITE PAGE LINK - CLICK ON THE WEBSITE PAGE LINK
Comments
Post a Comment