শিশুর পড়াশনায় অতিরিক্ত চাপ দেওয়া কতটা যৌক্তিক এবং তার ফল


 
শিশুর পড়াশনায় অতিরিক্ত চাপ দেওয়া কতটা যৌক্তিক এবং তার ফল :-

বাবা মায়েরা প্রায়ই চিন্তা করেন যে তাদের সন্তানেরা পড়াশনায় যেন ভাল হয় 

,জীবনে উন্নতী করতে পারে।  অনেক বড় চাকরী অনেক স্বছন্দপূর্ণ জীবন তারা তাদের সন্তানের জন্য ভেবে রাখে। তাই এইরূপ জীবন ভবিষ্য়তে পাওয়ার জন্য সন্তানদের ছোটবেলা থেকেই পড়াশনায় প্রচুর চাপ দেওয়া হয়।  

যেহেতু প্রত্যেক পিতামাতা চান তাদের সন্তান একাডেমিকভাবে সফল হোক , 

সন্তানের সুস্থতা এবং সামগ্রিক বিকাশের উপর অতিরিক্ত চাপের প্রভাব বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। 

বাচ্চাদের তাদের পড়াশোনায় দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করার জন্য একটি সহায়ক এবং উৎসাহজনক পরিবেশ সরবরাহ করা প্রয়োজন। যাইহোক ,সুস্থ অনুপ্রেরণা এবং অত্যধিক চাপের মধ্যে একটা পার্থক্য আছে। যখন বাবা মা তার ছেলে মেয়েদের একাডেমিকভাবে কাজ করার জন্য খুব বেশি চাপ দেয়,

তখন এটি নেতিবাচক পরিণতির দিকে নিয়ে যায় , যার ফল হল -স্ট্রেস , উদ্বেগ ,অত্যধিক টেনসন ইত্যাদী সন্তানদের পড়াশোনায় উৎকর্ষের দিকে ঠেলে দেওয়া জীবনের সাফল্যের জন্য প্রয়োজনীয়। তারা তাদের সন্তানের একাডেমিক পারফরম্যান্সকে তাদের সমবয়সীদের সাথে তুলনা করতে পারে 

বা তাদের নিজেদের অপূর্ণ ইচ্ছা আকাঙ্খা পূরণের জন্য তাদের সন্তানের উপর অবাস্তব প্রত্যাশা রাখতে পারে যাইহোক ,এই পদ্ধতি ভালোর চেয়ে বেশি ক্ষতির কারণ হতে পারে। যেসব শিশুকে খুব বেশি চাপ দেওয়া হয় তারা 

বিরক্ত হতে পারে ,তাদের শেখার প্রেরণা হারাতে পারে এবং শিক্ষার নেতিবাচক মনোভাব গড়ে তুলতে পারে। 

শিশুদের শেখার ধরণ এবং ক্ষমতা আলাদা ।  কিছু কিছু বিষয়ে স্বাভাবিকভাবে প্রতিভাবান  হতে পারে,অন্যরা সংগ্রাম করতে পারে ,বাচ্চাদের তাদের সামর্থ্যের বাইরে পারফর্ম করার জন্য চাপ দেওয়া অপ্রাপ্তির অনুভূতি ,হয় ।   এতে বাচ্চারা বিষণ্ণভাবে হতাশাগ্রস্থ হতে পারে। বাচ্চাদের ওপর অতিরিক্ত চাপ দেওয়ার পরিবর্তে , পিতামাতার তাদের সৃজনশীল সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা বাচ্চাদের কর্মদক্ষতাকে উৎসাহিত করে এমন একটি ইতিবাচক পরিবেশ প্রদান করে তাদের শেখার আগ্রহকে সমর্থন করতে পারেন।  পিতামাতারা তাদের সন্তানদের আগ্রহ , আবেগ অন্বেষণ  করতে ,তাদের পড়াশোনার বিষয় জড়িত করতে তাদের পছন্দের বিষয়ের প্রতি আগ্রহ দেখিয়ে গঠনমূলক প্রতিক্রিয়া এবং নির্দেশনা দিতে উৎসাহিত করতে পারেন। 

পিতামাতারা তাদের সন্তানদেরকে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী বাস্তবসম্মত লক্ষ্য এবং প্রত্যাশা নির্ধারণ করে সাহায্য করতে পারেন। তারা তাদের সন্তানদের অর্জিত অর্জনকে উৎসাহিত করতে পারে। এইভাবে শিশুর মধ্যে একটি পজিটিভ /ইতিবাচক মনোভাব গড়ে ওঠে। তাদের আত্মবিশ্বাস গড়ে ওঠে ,যা তাদের একাডেমিক উন্নতী করতে সাহায্য করে।

পিতামাতা সর্বদা জেতার ওপর ফোকাস করবেন না :-

সর্বোচ্চ স্কোর পেতে বা ক্লাসে শীর্ষে থাকাটা দারুন লাগে , তবে যেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা হল ক্রমাগত উন্নতী করা ,ভয়কে জয় করা এবং নতুন জিনিস চেষ্টা করা। শুধুমাত্র ট্রফিতে ফোকাস না করে আপনার বাচ্চাকে এই দিকগুলিতে ফোকাস করতে উৎসাহিত করুন। 

সাফল্য শুধুমাত্র স্কুলে আপনার কর্মদক্ষতা দ্বারা সংজ্ঞায়িত হয় না , আপনার মূল্যবোধ এবং বিশ্বাসগুলিও গুরুত্বপূর্ণ। নিজের সন্তানের মধ্যে ভাল মূল্যবোধ ধারণ করার  চেষ্টা করুন। তাদের সাথে সম্মান প্রদর্শন ,ভাল আচরণ প্রদর্শন করুন। 

যদি ও পিতামাতার মতে তাদের সন্তানরা শিক্ষাগত দিক থেকে উত্তীর্ণ হতে চায় তা স্বাভাবিক ,কিন্তু তাবু পিতামাতারা মনে করে চাপ না পড়লে ছেলেমেয়েরা এই প্রতিযোগীতামূলক দৌড়ে পিছিয়ে পড়বে তাই সেই ভয়ে পিতামাতারা সন্তানের কথা চিন্তা না করে তাদের উন্নতীর স্বার্থে তাদের ওপর চাপ দেয়। কিন্তু পিতামাতার এটা বোঝা উচিত যে এই চাপ তাদের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করে। এর ফলে শিশুর সুস্থতা এবং সামগ্রীক বিকাশে প্রভাবিত করতে পারে। একটি সহায়ক এবং ললনশীল পরিবেশ প্রদান করার মাধ্যমে বাচ্চার সবকিছু  শেখার প্রতি ভালবাসা তৈরী হবে।  পিতামাতারা তাদের সন্তানের পূর্ণ সম্ভাবনা অর্জনের জন্য জীবনের সাফল্যের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করতে পারে।

OUR YOU-TUBE CHANEL : CLICK ON THE YOUTUBE CHANEL LINK

OUR FACEBOOK CHANEL - CLICK ON THE FACEBOOK CHANEL LINK

 
 

OUR WEBSITE PAGE LINK -  CLICK ON THE WEBSITE PAGE LINK

Comments

Popular Posts