বিষাক্ত সম্পর্ক থেকে একা বাঁচা অনেক শান্তির এবং সুরক্ষিত :-
বিষাক্ত সম্পর্ক থেকে একা বাঁচা অনেক শান্তির এবং সুরক্ষিত :-
বিষাক্ত সম্পর্ক বলতে এমন একটি সম্পর্ককে বোঝায় যা আপনাকে সর্বদা অসমর্থিত ,ভুল বোঝাবুঝি , অপমানিত , মানষিক বা শারীরিক ভাবে আক্রান্ত করতে পারে। একটি সম্পর্ক বিষাক্ত তখন বোঝা যায় যখন আপনার সুস্থতা কোনভাবে অসুস্থতার মুখোমুখি হয় , সেটা মানষিক বা শারীরিক দুই ধরনের অসুস্থতাই হতে পারে। যে সম্পর্ক আপনাকে ভালোর পরিবর্তে খারাপ বোধ করায় বেশি। সারাক্ষন ভয় ভয় থাকতে হয় যে সম্পর্কে খুশি অপেক্ষা কষ্ট অনেক বেশি ,যে সম্পর্কে কোন একে অপরকে সমর্থন না এমন লোকেদের মধ্যে সম্পর্ক হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে , যেখানে দ্বন্দ্ব এবং অবমূল্যায়ন রয়েছে যেখানে প্রতিযোগিতা রয়েছে ,যেখানে অসম্মান এবং সমন্বয়ের অভাব রয়েছে এভাবে বিষাক্ত সম্পর্ক গঠিত হয়। এই ধরনের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার ও বিভিন্ন ধাপ আছে একদিনে কখনও এখান থেকে বেরোতে পারবেন না।
একটি ভালো সম্পর্ক যেমন আপনার জীবনকে উন্নীত করতে পারে তেমনইএকটি খারাপ সম্পর্ক আপনার হৃদয় বিষন্ন এবং মানষিক রোগীতে পরিনত করতে পারে। স্বাধীনতা ,বিশ্বাস থাকে না সেই ধরনের সম্পর্ককে বিষাক্ত বা Toxic সম্পর্ক বলে।
বিষাক্ত সম্পর্কের কিছু বিশেষ লক্ষণ আছে :-
শারীরিক বা মৌখিক অপব্যাবহার জড়িত সম্পর্কগুলি অবশ্যই বিষাক্ত সম্পর্কের মধ্যে চিহ্নিত হয়। যেমন যে সম্পর্কের মধ্যে আপনি প্রতিনিয়ত অপমানিত আক্রমণাত্মক ব্যবহার , ভুল বোঝাবুঝি লেগেই থাকে সেগুলি ভাল সম্পর্কের উদাহরণ নয়। বিষাক্ত এবং অস্বাস্থ্যকর সম্পর্ক প্রায়ই বাইরের লোকদের কাছে বিস্মিত করে। কেউ যদি আপনাকে দুঃখী করে বা শারীরিক বা মানসিক ভাবে অপমানিত করে তাহলে একটাই সিদ্ধান্ত হল তাকে ছেড়ে দেওয়া। আর্থিক শিশু এবং আবেগ সহ অনেক কারনে বাস্তবতা প্রায়শই জটিল হয় তাই যা করা উচিত তা হল -
(১) সামাজিক একটি শক্ত সমর্থন তৈরী করতে হবে যাতে সমাজ তোমাকে সাথ দেয়।
(২) নিজেকে স্বাধীন হওয়ার উপায়গুলি গড়ে তুলতে হবে। অর্থ্যাৎ আর্থিক দিক থেকে, লোক লজ্জার দিক থেকে নিজেকে অনেক স্বাধীন হতে হবে।
(৩) পরিবার ,বন্ধুবান্ধব যেন পাশে থাকে সে দিকে খেয়াল করুন।
(৪) একজন থেরাপিস্ট ,আইনি ব্যবস্থার ও সহযোগীতা প্রয়োজন
(৫) বিষাক্ত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার সাথে সাথে নিজের যত্ন নিতে হবে নিজেকে মানসিক এবং শারীরিক ভাবে প্রস্তূত হতে হবে।
এভাবে আমরা কোন টক্সিক সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে পারব।
এই সময় মানুষ সর্বপ্রথম নিজেকে শেষ করে দেওয়া অর্থ্যাৎ আত্মহত্যার চিন্তা করে থাকেন। না একদম না , মানুষকে লড়তে হবে কোন কিছুই জীবনে চিরস্থায়ী নয় তাই নিজেকে ভাল রাখার জন্য যা ব্যবস্থা নিজেকেই করতে হবে। সবাই যেমন সমাজে ভাল নয় , আবার সবাই খারাপ ও হয় না , তাই নিজের জীবনকে সুন্দর করার ব্যবস্থা নিজেকেই করতে হবে। মানুষ অনেক ভুল করে , আবার সেই ভুল শুদ্রে সেই মানুষই আবার ভাল ভাবে বাঁচতে পারে। বিষাক্ত সম্পর্ক থাকার চেয়ে একা থাকা অনেক ভাল। বিষাক্ত সম্পর্কগুলি আমাদের নানা ভাবে ক্ষতি করে তাই এই ধরনের সম্পর্ক শেষ হওয়া খুবই প্রয়োজনীয়। যদিও অনেকের কাছে একা থাকা ভীতিকর হতে পারে ,তবে এটি মনে রাখা দরকার যে একা থাকা একাকী হওয়ার মত নয়। আমরা একা থাকার মধ্যেও পরিপূর্নতা এবং সুখ খুঁজে পেতে পারি। এবং এটি একটি ভাল এবং আর ও পরিপূর্ন জীবনের দিকে পরিচালিত করতে পারে
OUR YOU-TUBE CHANEL : CLICK ON THE YOUTUBE CHANEL LINK
OUR FACEBOOK CHANEL - CLICK ON THE FACEBOOK CHANEL LINK
OUR WEBSITE PAGE LINK - CLICK ON THE WEBSITE PAGE LINK
Comments
Post a Comment