বাইপোলার ডিসঅর্ডার সন্মন্ধে বিস্তারিত জেনে নিন

 বাইপোলার ডিসঅর্ডার সন্মন্ধে বিস্তারিত জেনে নিন


বাইপোলার ডিসঅর্ডার:-


বাইপোলার ডিসঅর্ডার এক ধরনের মানসিক অসুস্থতা। অন্য্ কথায় , এই রোগটিকে ম্যানিক ডিসঅর্ডার বলা হয়। এই রোগে মানুষের মেজাজ সবসময় পরিবর্তিত হতে থাকে।  এতে ব্যাক্তি হঠ্যাৎ খুশি হয়ে যায় এবং কখনও কখন সে অত্যাধিক হতাশায় চলে যায়।  এমনকি কিছু মানুষ আত্মহত্যা করার কথা ভাবে এবং অনেক ক্ষেত্রে করার চেষ্টা ও করে। বাইপোলার ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত ব্যাক্তিদের আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি থাকে আবার কখন ও কখন আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে।  এই রোগে অনেকে দুঃস্বপ্ন দেখেন।  বাইপোলার ডিসঅর্ডার একটি মানুষের খুব খারাপ অবস্থা।  যা দীর্ঘকাল স্থায়ী হয়।  এই চিকিৎসার জন্য একজন মনোবিজ্ঞানীর প্রয়োজন। 

বাইপোলার ডিসঅর্ডারের প্রকারভেদ :- 

বাইপোলার ডিসঅর্ডার বিভিন্ন ধরনের হয়।  এটি মূলত ম্যানিয়া এবং হাইপোম্যানিয়ার মধ্যে পড়ে।  যা মেজাজ পরিবর্তনের কারন হিসাবে গণ্য।  মানুষকে মানসিক ভাবে অনেক সুবিধা অসুবিধার মুখোমুখি হতে হয়।  

বাইপোলার ডিসঅর্ডার 1 :- এই ধরনের রোগে ব্যাক্তি সবকিছু অত্যাধিক  স্তরে হয় , যেমন অত্যাধিক আনন্দ , অত্যাধিক শক্তির অনুভূতি , অত্যাধিক উত্তেজনা , এই ধরনের ডিসঅর্ডারের লক্ষণ প্রায় 3 থেকে 4 মাস পর্যন্ত চলে।  যদি এই রোগের চিকিৎসা না হয় তাহলে ব্যাক্তি হতাশায় চলে যায় এবং আত্মহত্যার চেষ্টা করে। 

বাইপোলার ডিসঅর্ডার 2 :- এই ধরনের রোগে ব্যাক্তি বারবার দুঃখ বা হতাশার শিকার হয়। 

বাইপোলার ডিসঅর্ডারের কারন গুলি কি কি ?

এই রোগের নির্দিষ্ট কোন কারন জানা যায়নি।  কিন্তু যে কারনগুলির  জন্য এই রোগ হতে পারে তার কিছু সম্ভাবনা আলোচনা করা যায় :- 

মানসিক চাপ অনুভব করা 

সর্বক্ষণ কিছু চিন্তা করা 

বিনা কারনে কথা বলা  একা একা  কথা বলা 

আত্মবিশ্বাস হারানো 

খুব খিটখিটে হয়ে পড়া 

অন্তরে অন্তরে মন খারাপ হওয়া

ঘুমের অভাব 

বাইপোলার ডিসঅর্ডারের চিকিৎসা কীভাবে সম্ভব :-

প্রাথমিক চিকিৎসায় মানুষের মেজাজ ভারসাম্য বজায় রাখা কিছু ওষুধ সেবন করা যাতে এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। 

এই ধরনের রোগে আক্রান্তদের সারা জীবন চিকিৎসা চলতে পারে। তবে ব্যাক্তি তখনই সুস্থ হবে যদি সঠিকভাবে রোগীর যত্ন নেওয়া যায়। 

যদি আলকোহল বা অন্য্ কোন মাদক সেবন করে তাহলে বাইপোলার চিকিৎসা করা কঠিন হয়ে পরে।  

এই রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তি যদি খুব বিপজজনক আচরণ করে তাহলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করা উচিত। 

এই ধরনের রাগের জন্য বিভিন্ন এন্টিডিপ্রেশন ওষুধ রয়েছে , কিন্তু সেগুলি নিজের ইচ্ছামত খাওয়া উচিত নয়। 

এই  ধরনের রোগের জন্য কিছু থেরাপি ও আছে প্রয়োজনে সেই থেরাপিও রোগীর ওপর প্রয়োগ করতে হবে। 

এই রোগ প্রতিরোধ কীভাবে করা হয় ?

যদি পরিবারের কোন বন্ধুর বা সদস্যের মনে এই ধরনের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় তাকে য্ততাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া উচিত। 

আলকোহল এবং অনান্য ওষুধের অত্যাধিক ব্যবহার এড়িয়ে চলতে হবে ,

মানসিক অসুস্থতার চিকিৎসা চলাকালীন ব্যাক্তির ওষুধের কোর্সটি সম্পূর্ণ করা উচিত।  মাঝখানে চিকিৎসা বন্ধ করলে চলবে না , এতে বিপরীত প্রতিক্রিয়া হতে পারে। 

এই রোগ প্রতিরোধ করতে হলে নিজের প্রিয়জনের সহযোগীতার প্রয়োজন হয় , নির্দিষ্ট নিয়মসূচী মেনে চলতে হবে , পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমাতে হবে , রোগীকে ভাল রাখার চেষ্টা করতে হবে। 

যেকোন রোগ হোক না কেন , যদি পরিবার পরিজন, বন্ধুবান্ধবদের সহযোগীতা পাওয়া যায় তবে যে কোন রোগ অনেক তাড়াতাড়ি ভাল হয়ে যায়। তাই ঠিকমত যত্ন , ওষুধ যদি কোন রোগীকে দেওয়া হয় তবে সে যত বড়ই রোগী হোক না কেন , সে আবন্ত আস্তে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে।

OUR YOU-TUBE CHANEL : CLICK ON THE YOUTUBE CHANEL LINK

OUR FACEBOOK CHANEL - CLICK ON THE FACEBOOK CHANEL LINK

 
 

OUR WEBSITE PAGE LINK -  CLICK ON THE WEBSITE PAGE LINK

Comments

Popular Posts