রাগি বাচ্চাদের নিয়ন্ত্রণে আনার বেশ কিছু পদ্ধতি :-
রাগি বাচ্চাদের নিয়ন্ত্রণে আনার বেশ কিছু পদ্ধতি :-
আপনি যদি অভিভাবক হন তবে একটা কথা নিশ্চিত যে আপনাকে রাগি সন্তানের সাথে মোকাবিলা করতে হয় সব বাচ্চারাই যে রাগি হয় এমন নয় , কিন্তু বেশির ভাগ বাচ্চারাই যখন তাদের মনের মত কাজ না হয় , যখন তাদের চাহিদা পূরণ করা না হয় , তখন রাগের মাধ্যমে তারা বহিঃপ্রকাশ করে।
রাগ একটি স্বাভাবিক আবেগ যা সবার মধ্যেই থাকে ছোটদের মধ্যে ও রাগ দেখা যায়। কিন্তু তাদের সেই রাগের মোকাবিলা করতে হবে অনেক ঠান্ডা মাথায়।
রাগান্বিত শিশু এবং কিশোর কিশোরীদের পরিচালনা করতে শেখা একটি চলমান প্রক্রিয়ার এবং এটি শেখার খুবই প্রয়োজন। তাই রাগান্বিত শিশুর সাথে আচরণ করার কিছু পদ্ধতি শিখে নিন।
শিশু যখন খুব রেগে থাকবে তখন তার সাথে চিৎকার বা চ্যালেঞ্জ করবেন না। যখন বাবা একটি মা একটি রাগান্বিত অবস্থায় শিশুর সাথে চিৎকার বা চ্যালেঞ্জ করে এতে তাদের মধ্যে রাগ আরও বেড়ে যায় যা একটা সময় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তখন বাবা মায়ের উচিত শান্ত থাকা এবং বাচ্চাটিকে শান্ত হওয়ার সুযোগ দেওয়া , পরবর্তী সময় বা কিছুক্ষন পরে তাকে ধৈর্য্য ধরে শান্ত হয়ে বোঝাতে হবে , যাতে সে তার নিজের ভুল বুঝতে পারে এবং নিজেকে পরিবর্তন করতে পারে।
অতিরিক্ত কঠোর শাস্তি দেবেন না :-
বাচ্চাদের শাস্তি দেওয়া কিছু ক্ষেত্রে উচিত, কিন্তু রাগান্বিত বাচ্চাকে বসে আনার জন্য তাকে অতিরিক্ত শাস্তি দিলে তারা বেশি করে সেই কাজটি করবে , হয়ত করবে না লুকিয়ে করবে। আপনার বাচ্চাটিকে কঠোর শাস্তি না দিয়ে তাকে এটা বোঝানোর চেষ্টা করা যে , ও যে কাজটি করতে চাইছে তাতে তার নিজেরই ক্ষতি হবে এই যুক্তিটা খুব শান্ত ভাবে ধৈর্য ধরে বোঝাতে হবে। যে বাচ্চা যত তাড়াতাড়ি রেগে যায় তারা আবার তাড়াতাড়ি শান্ত হয়ে যায়।
উপযুক্ত আচরণের প্রশংসা করুন :-
যখন বাচ্চারা শান্ত হয়ে যায় , তখন তাদের উপযুক্ত কোন আচরণের জন্য প্রশংসা করুন , যখন তারা তাদের অনুভূতিগুলি মৌখিক ভাবে প্রকাশ করার চেষ্টা করে শান্তভাবে বা মতানৈক্যের ক্ষেত্রে একটি আপস খুঁজে বের করার চেষ্টা করে সেই প্ৰচেষ্টাগুলির জন্য তাদের প্রশংসা করুন।
আপনার বাচ্চার অত্যাধিক রাগের কারন খোঁজার চেষ্টা :-
বাচ্চারা যা দেখে তাই শেখে পরিবারের অন্য্ সদস্যদের একে অপরের সাথে তর্ক বা রাগ করতে দেখে , তাই তারাও সেটাই করে।
বন্ধুত্বের সমস্যা ,স্কুলের কাজ বা পরীক্ষার সাথে লড়াই , খুব চাপ , উদ্বিগ্ন বা কোন কিছু নিয়ে ভীত বোধ করলে ,বয়ঃ সন্ধির সময় হরমোনের পরিবর্তনের সাথে সাথে এই ধরনের রাগের সঞ্চার হয়।
ইতিবাচক থাকতে হবে :-
ইতিবাচক প্রক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ , আপনার সন্তানের প্রচেষ্ঠা নিজের প্রচেষ্ঠার প্রশংসা করুন , তা জতই ছোট হোক না কেন।
এটি আপনার সন্তানের রাগ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতার প্রতি তার আত্মবিশ্বাস তৈরী করবে। এটি তাদের অনুভব করতে সাহায্য করবে যে আপনি উভয়ই একসাথে শিখছেন।
নিয়মিত সক্রিয় খেলা এবং ব্যায়াম কে প্রাধান্য দেওয়া সক্রিয় থাকা রাগের অনুভূতি কমাতে বা বন্ধ করার একটি উপায় হতে পারে। এটি মানসিক চাপ উদ্বেগ বা বিষন্নতার অনুভূতি উন্নত করার একটি উপায় হতে পার।
তারা ছোট করে হাঁটতে পারে , জগিং বা দৌড়ানো করতে পারে , সাইকেল চালাতে পারে। এভাবে তারা নিজেদের সক্রিয়তার উপর জোর দিয়ে নিজেদের রাগের ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
শিশুদের এই পদ্ধতি গুলিও যদি কাজ না হয় তখন তাদের কাউন্সিলিং করান উচিত বা ডাঃ কে দেখান উচিত। কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে তাদের অনেক অজানা জিনিস ভিতর থেকে বেরিয়ে আসবে ,যাতে তারা অনেক হালকা হবে আর তাদের রাগের পরিমাণওকমতে থাকবে। তার সাথে সর্বদা পিলারের মত তার পরিবারকে পশে থাকতে হবে , যাতে সে এই জায়গা থেকে বেরিয়ে আস্তে পারে এবং একটি সুন্দর সাধারণ জীবন অনুভব করতে পারে আর নিজের জীবনকে আর ও প্রানোচ্ছল করতে পারে।
।OUR YOU-TUBE CHANEL : CLICK ON THE YOUTUBE CHANEL LINK
OUR FACEBOOK CHANEL - CLICK ON THE FACEBOOK CHANEL LINK
OUR WEBSITE PAGE LINK - CLICK ON THE WEBSITE PAGE LINK
Comments
Post a Comment