Domestic Violence গার্হস্থ্য অত্যাচার ?
Domestic Violence গার্হস্থ্য অত্যাচার ?
গার্হস্থ্য অপব্যবহার /গার্হস্থ্য সহিংসতা বা ঘনিষ্ট অংশীদার সহিংসতা ও বলা হয় ; যে কোন সম্পর্কের আচরণের একটি প্যাটার্ন হিসাবে সজ্ঞায়িত করা যেতে পারে যা একটি অন্তরঙ্গ অংশীদারের উপর ক্ষমতা এবং নিয়ন্ত্রণ অর্জন বা বজায় রাখতে ব্যবহৃত হয়।
অপব্যবহার হল শারীরিক , যৌন , মানসিক অর্থনৈতিক বা মনস্তাত্ত্বিক ক্রিয়া বা অন্য্ ব্যক্তিকে প্রভাবিত করে এমন কর্মের হুমকি।
কোন আচরণ অন্তর্ভুক্ত যা কাউকে ভয় দেখায়। আতঙ্কিত করে ম্যানিপুলেট করে , আঘাত করে অপমান করে , দোষ দেয় , আহত করে বা আহত করে। গার্হস্থ্য নির্যাতন যে কোন জাতি বয়স ,যৌন অভিমুখিতা ধর্ম বা লিঙ্গের যে কেউ ঘটতে পারে , এটি বিবাহ দম্পতি একসাথে বিশ্বাস বা ডেটিং সহ বিভিন্ন সম্পর্কের মধ্যে ঘটতে পারে , গার্হস্থ্য সহিংসতা সমস্ত অর্থ -সামাজিক পটভূমি এবং লিঙ্গ স্তরের মানুষকে প্রভাবিত করে।
এই ধরনের অপব্যবহারকারী ভয় , অপরাধবোধ ,লজ্জা এবং ভীতি ব্যবহার করে আপনাকে নিরাশ করতে এবং আপনাকে তাদের বুড়ো আঙুলের নিচে রাখতে চায়।
গার্হস্থ্য নির্যাতন প্রায়শই হুমকি এবং মৌখিক আক্রমন থেকে সহিংসতায় পরিনত হয় , শারীরিক আঘাত সবচেয়ে সুস্পষ্ট বিপদ ডেকে আনতে পারে , গার্হস্থ্য নির্যাতনের মানসিক এবং মনস্তাত্ত্বিক পরিণতিগুলি ও গুরুতর। আবেগগতভাবে আপত্তিজনক সম্পর্ক আপনার স্ব মূল্যকে ধ্বংস করতে পারে। এই ধরনের যন্ত্রনা সহ্য করতে হবে না এবং মুক্ত হওয়ার জন্য আপনার প্রথম পদক্ষেপ হল আপনার সম্পর্কটি আপত্তিজনক তা স্বীকার করা।
মানসিক অপব্যবহারের মধ্যে রয়েছে মৌখিক অপব্যবহার যেমন -চিৎকার ,নাম ডাক , দোষ দেওয়া এবং লজ্জা দেওয়া ,বিচ্ছিন্নতা , ভীতি প্রদর্শন এবং আচরণ নিয়ন্ত্রণ করা ও মানসিক অপব্যবহারের রূপ।
মানসিক বা মনস্তাত্ত্বিক অপব্যবহারকারী যারা ব্যবহার করে তারা প্রায়ই শারীরিক সহিংসতা বা অন্যান্য প্রতিক্রিয়ার হুমকি দেয় যদি আপনি তাদের ইচ্ছা মতো না করেন।
মানসিক অপব্যবহারের দাগগুলো খুবই বাস্তব এবং সেগুলো গভীর ভাবে চলে। আপনি ভাবতে পারেন যে শারীরিক নির্যাতন মানসিক নির্যাতনের চেয়ে অনেক বেশি খারাপ যেহেতু শারীরিক সহিংসতা আপনাকে হাসপাতালে পাঠাতে পারে এবং আপনাকে শারীরিক ক্ষত দিয়ে যায়। মানসিক নির্যাতন ও প্রচুর ক্ষতিকর যা কখন কখন তার সারাজীবন তা শেষ করে দিতে পারে ,
আর্থিক অপব্যবহার :-
আপনাকে মানসিক শারীরিক হেনস্থার সাথে সাথে আসে অর্থনৈতিক হেনস্থা , কঠোর ভাবে আপনাকে আর্থিক নিয়ন্ত্রণ করবে , টাকা বা ক্রেডিট কার্ড নিজের কাছে আটকে রাখবে , আপনার ব্যায় করা প্রতিটি টাকার হিসাব দিতে হবে না হলে মারধর খেতে হবে , মৌলিক প্রয়োজনীয়তা (খাদ্য , বস্ত্র , ওষুধ , বাসস্থান )সব দিক থেকে আটকে দেবে আপনার কাজের জায়গা নষ্ট করে দেওয়ার চেষ্টা করবে। সর্বদা এরা অন্যদের হুমকি দিয়ে ভয় দেখিয়ে নিজের পায়ে নীচে রাখতে চায়।
অন্তর মানসিকতা এবং হয়রানি :-
এই ধরনের মানুষরা সব কিছু করতে পারে আপনার বাড়িতে থাকা ও যেমন দুর্বিষহ করে দিচ্ছে তেমনই আপনার কাজের জায়গা গুলিতে ও এরা নোংরামি করবে অর্থ্যাৎ আপনাকে আপনার কাজের জায়গায় আপনার আত্মীয় পরিজনের কাছে হেনস্থা করবে তাদের সামনে আপনার সম্মানহানীর সব ব্যবস্থা করবে , আপনার কাজের জায়গা নষ্ট করবে যাতে সে আর কোন জায়গায় কাজ নাকরতে পারে স্বনির্ভর না হতে পারে। এই ধরনের অসুস্থ মানুষরা চায় যে আপনি সব দিক থেকে হেরে যান। তাই তারা তাদের সাধ্যমত হয়রানি করতে থাকে। কিন্তু মেয়েদের উচিত কোনভাবে হার না মানা তাদের উচিত ধৈর্য্য ধরে নিজেকে মানসিক ভাবে শক্ত করা আর এই ধরনের মানুষদের নিজেদের জায়গাটা বোঝান।
গার্হস্থ্য হিংসা থেকে বেরিয়ে আসার কিছু করণীয় কর্মসূচী
সর্বপ্রথম আপনাকে চেষ্টা করতে হবে ঘরের মধ্যে বসে বাড়ির বড়দের সাথে একত্রিত হয়ে কথা বলে , আলোচনার মাধ্যমে যদি কোন শুভ পরিণতি ঘটান যায় , অর্থ্যাৎ ঐ ব্যক্তিকে একটি সুযোগ দেওয়া যদি বা নিজেকে পরিবর্তন করতে পারে , তার জন্য তাকে বাড়ির বড়দের সামনে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে যে সে এই ধরনের কাজ আর করবে না।
কিন্তু এই পন্থা খুব একটা কাজে লাগে না ,কারন কিছুদিন তারা সুদরে যাওয়ার নাটক করে কিন্তু কিছুদিন পরে তারা আবার আগের মত রূপ ধারণ করে। তাই পুলিশি ব্যবস্থা বা আদালতের দ্বারস্থ হওয়া সবচেয়ে সঠিক পদ্ধতি
গার্হস্থ্য সহিংসতার ক্ষেত্রে আদালত ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসরণ করে চলা উচিত। এখানে পীড়িত মহিলা ডিসচার্জ পিটিশনের জন্য ফাইল করতে পারেন। আদালত সহ এই ধরনের পীড়িত মহিলাদের অধীনে নারীদের সেবা প্রদানের জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের জন্য প্রটোকল প্রণয়ন করা হয়েছে।
এগুলি ছাড়া আরও একটি পদ্ধতি আছে তা হল ঐ লোকটি কেন এমন করছে তা জানার জন্য একবার কাউন্সিলিং করান অর্থ্যাৎ তার ভিতরে কি চলছে তা কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমেও বাইরে বেরিয়ে আসব।
তাই সর্বশেষে এটাই বলা যে যে পীড়িত হচ্ছে সেই তো অনেক কষ্টের মধ্যে দিয়ে যায় , তাই পুরুষতান্ত্রিক সমাজের কাছে আমাদের অর্থ্যাৎ মহিলাদের এটাই চাহিদা যে এই Domestic Violence যেন বন্ধ হয়। তাদের সুখে শান্তিতে বাঁচতে দেওয়া উচিত।
OUR YOU-TUBE CHANEL : CLICK ON THE YOUTUBE CHANEL LINK
OUR FACEBOOK CHANEL - CLICK ON THE FACEBOOK CHANEL LINK
OUR WEBSITE PAGE LINK - CLICK ON THE WEBSITE PAGE LINK
Comments
Post a Comment