সন্তান যদি কথা না শোনে তার দায় কি শুধুই সন্তানের ?
সন্তান যদি কথা না শোনে তার দায় কি শুধুই সন্তানের ?
শিশুদের মধ্যে অবাধ্যতা প্রকৃতপক্ষে পিতামাতা এবং তাদের বাচ্চাদের মধ্যে কার্যকর যোগাযোগ অসুবিধা তৈরী করতে পারে। যখন শিশুরা অবাধ্য আচরণ প্রদর্শন করে , তখন তারা পিতামাতার নির্দেশনার প্রতি প্রতিরোধী হয়ে ওঠে। সন্তান কথা শুনছে না এই অভিযোগ করা খুবই সহজ কিন্তু কেন তারা কথা শুনছে না তার আসল কারন খুঁজে বার করার প্রয়োজন আছে।
সন্তান কথা শুনছে না সেই নিয়ে পিতামাতা সর্বত্র আলোচনা করছেন সন্তানের দৌরাত্ম নিয়ে ক্রমাগত আলোচনা চলছে আত্মীয় বা বন্ধু মহলে , কিন্তু ভেবে দেখেছেন সন্তান কেন কথা শোনে না আপনার ? তা কি কেবলই তার দোষ , আপনাদের নিজেদের কোন ফাঁক থেকে যাচ্ছে না তো সন্তানকে মানুষ করার পিছনে ?
সন্তানকে উপযুক্ত লালন পালন করার ক্ষেত্রে বাবা -মায়েরা ধারণা করে তারা যা বোঝে বাচ্চারা ও তাই বোঝে , তাই বাবা মা কোন কিছু না ভেবে বাচ্চাদের ওপর একটা অপ্রত্যাশিত চাপ দিতে থাকে। তারা যেটা চায় বাচ্চাকে সেই ভাবেই কাজ করতে হবে , বাচ্চার নিজের কোন ইচ্ছা থাকবে না , এই ভাবে যদি কোন বাচ্চা বড় হয় , কিছুটা সময় পর ঐ বাচ্চাগুলির মধ্যে প্রতিবাদ করার মানসিকতা বা কথা না শোনার মনোভাব তৈরী হবে তাই জোড় করে কোন বাচ্চাকে কিছুকরতে না দিয়ে , সেই কাজটাই যদি সুন্দর করে বুঝিয়ে করান হয় তবে বাচ্চারা ঠিক শুনবে।
বাবা মায়েরা যদি বাচ্চাদের সাথে ক্রমাগত নির্দেশনা দেয় /অর্ডার দেয় বা তিরস্কার শুরে কথা বলে তবে সেই শিশুরা কখন ও ভাল ভাবে ব্যবহার করবে না , কিন্তু যদি বাচ্চাদের সাথে খোলামেলা ভাবে সম্মানজনক ভাবে , ভালবেসে তাকে কিছু বলা হয় তবে তারা সব কথা শুনবে।
সন্তানকে বুঝতে দিতে হবে যে , তার পিতামাতা তাকে যথেষ্ট বোঝে অর্থ্যাৎ সন্তানের কথাকে প্রাধান্য দিন সে কি বলতে চাইছে , তাকে শুনুন , তাকে কথা বলার সুযোগ দিন , তার কথা শোনার পর তাকে উত্তর দিন। মন দিয়ে তার কথা শুনুন এতে তারা বুঝবে যে আপনি তাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। সন্তানের ব্যাপারে একমত হন অর্থ্যাৎ সন্তান কোন কিছু বললে বাবা মা একসাথে শুনে একটি মত দিন এতে ছেলেমেয়েরা নিজেদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলে বুঝতে পারবেন যদি পিত ও মাতার সিদ্ধান্ত এক না হয় তবে বাচ্চার সামনে কোন তর্ক বা ঝামেলা করবেন না আপনারা নিজেরা আলাদা ভাবে আলোচনা করুন , যাতে তার গুরুত্ব কিছু কম না হয়।
সন্তানের প্রশ্নের জবাব দিন যদি প্রশ্নের জবাব না দিয়ে তাকে এড়িয়ে যান বা তার প্রতি বিরক্ত হন তবে সে তার উত্তর খোঁজার জন্য এমন কিছুকে বা এমন কাউকে খুঁজে নেবে যার পরিণতি আপনার জন্য সুখকর নাও হতে পারে।
জেনারেশন গ্যাপ মিটিয়ে ফেলুন। বাবা মায়েরা বলেন তারাও যেভাবে বড় হয়েছে তার সন্তান ও তেমন ভাবেই বড় হবে। ফলে এই অবাস্তব প্রত্যাশার জন্য সৃষ্টি হয় ভুল বোঝাবুঝির ঠিক এর পরই শুনতে হয় যে ছেলেমেয়েরা অবাধ্য কথা শোনে না , বড়দের সম্মান দেয় না , ঠিক বড়দের ও বোঝা উচিত যে তারাও ছোটদের ফিলিংসটা বা তাদের যুক্তি টাকে সম্মান দিতে পারল না । তাই পিতামাতাকে কিছু ক্ষেত্রে সহনশীল হতে হবে। সন্তানের চাহিদা দৃষ্টিভঙ্গির সাথে আপনার চাহিদার দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে একটি ভারসাম্য আনতে হবে।
পিতামাতারা একটি মস্ত বড় ভুল কাজ যেটা করে তা হল নিজেদের অপূর্ন স্বপ্ন গুলো তার বাচ্চাদের মধ্যে দিয়ে বাস্তবায়ন করা। এর ফলে সন্তানের জীবনের লক্ষ্য কি হবে তা ঠিক করে দেয় তার বাবা এর ফলে সন্তানের চাওয়া বা সামর্থ্যের বিষয়টিকে কোন গুরুত্ব দেওয়া হয় না। যার ফলে এর মাশুল দিতে হয় সন্তানকে। সন্তান না ঠিক করে বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে পারল না সে নিজের পছন্দের জীবন বা কাজকে প্রাধান্য দিতে পারল। তাই অভিভাবকের উচিত একটি পর্যায়ের পর তার সব ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করে চিন্তা বা স্বাধীনতা গ্রহণের স্বাধীনতা দিন।
সন্তানের ও আত্মমর্যাদা বোধ আছে তাই তাদের সবার সামনে ছোট করা , ভুল ধরিয়ে দেওয়া উচিত নয়। আপনি নিশ্চই শেখাবেন বা বকা দেবেন কিন্তু সবার সামনে আপনি কখনই নিজের সন্তানকে ছোট / অপমান করা ঠিক নয়।
শিশুদের ও এমন কিছু শেখান যে কাজটা আপনি নিজেও করেন। এতে সে যাতে আপনাকে দেখে শিখতে পারে।
একই কথা বার বার বলবেন না , এতে আপনার নিজের গুরুত্ব কমে যায়। তাই অহেতুক চেঁচামেচি না করে হালকা শাস্তির ব্যবস্থা করুন। নিজে চেঁচামেচি না করে হালকা শাস্তির মাধ্যমে বা আচরণের পরিবর্তন আনার চেষ্টা করুন।
আশাকরি এই সকল কৌশলগুলির ব্যবহারে শিশুদের মধ্যে পরিবর্তন আসবেই তাতে ও যদি দেখেন যে তাদের মধ্যে পরিবর্তন নেই তখন ডাঃ এর সাথে পরামর্শ প্রয়োজন।
OUR YOU-TUBE CHANEL : CLICK ON THE YOUTUBE CHANEL LINK
OUR FACEBOOK CHANEL - CLICK ON THE FACEBOOK CHANEL LIN
OUR INSTAGRAM CHANEL - CLICK ON THE INSTAGRAM PAGE LINK
OUR WEBSITE PAGE LINK - CLICK ON THE WEBSITE PAGE LINK
Comments
Post a Comment